রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে লাদাখে ভুগতে হতে পারে সেনাবাহিনীকে
নিউজ ডেস্কঃ ভারতবর্ষের প্রাইভেট সংস্থা গুলির হাতে কিছুটা ক্ষমতা গেলে হয়ত আজ ভারতের হাতে বিধ্বংসী এবং ভয়ংকর অস্ত্র থাকতে পারতো এমনটাই মত বেশ কিছু বিশেষজ্ঞদের। কারন দেশীয় সরকারি সংস্থা গুলির মাঝে মধ্যে হরতাল এবং দাবি পুরনের পাশাপাশি রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে একাধিক সময় বিরাট পরিমাণে ভুগতে হয়েছে সেনাবাহিনীকে।
চীনারা ভারত সীমান্তে তাদের ট্রাক মাউন্টেড আর্টিলারী নিয়ে এসেছে। PCL 181 যেগুলি হাইলি ম্যানুভারেবেল ,155/39 কালিবার বন্দুক লাদাখ সীমান্তে তাদের বিশাল পরিমানে মোতায়েন করার ইচ্ছা আছে। এর জবাবে যেটা হতে পারত সেটা সেই মিনিস্ট্রি অফ ডিফেন্স গাফিলতিতে এখন পরীক্ষা চলছে।
ভারত ফোরজ এর অন্তর্গত কল্যাণী গ্রুপ 2018 সালের মধ্যেই দুটি সিস্টেম নিয়ে আসে। যার একটি 155/39 কালিবার LUH বা হালকা হাউইজার যা মার্কিন এম 777 হাউইজার এর সমতুল্য। সেনা 145 টি মার্কিন হাউইটজার নিয়েছে, কিন্তু দরকার আরো বহু এটা তার বিকল্প হতে সামর্থ সঙ্গে কল্যাণী গ্রুপ নিয়ে এসেছে 105 মিমির একটি মাউন্টেড ফিল্ড গান সিস্টেম। পাহাড়ী অঞ্চলে দ্রুত গতির হামলা ও সাঁজোয়া গাড়ির সঙ্গে সেনাকে শত্রু ভূখণ্ডে পুশ করতে এটা ভীষণ কার্যকর ভূমিকা গ্রহন করে।
সূত্রের মতে সেনা নাকি 105 মিমি বন্দুক এর পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। 155 মিমি বন্দুক পরীক্ষা চলছে। উভয় গান সিস্টেম পারফরম্যান্স দারুন সেনার মতে। উল্লেখযোগ্য যে 2017 সালে বর্তমান CDS বিপিন রাওয়াত তখন তিনি সেনা প্রধান ছিলেন। কল্যাণী গ্রুপ এর প্রধান বাবা কল্যাণী কে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেছিলেন এই রকম বন্দুক তৈরি করার জন্য। তার ডাকে সাড়া দিয়ে এক বছরের মধ্যেই তারা দুটি বিশ্বমানের বন্দুক প্রনালী নিয়ে আসে। সেনাবাহিনীকে আরো কয়েক মাস এখন অপেক্ষা করতে হবে, শোনা যাচ্ছে এই বছরের শেষে সেনা বেশ কয়েকশ এই দুই ধরনের বন্দুক অর্ডার করতে চলেছে। দেরী সব কিছুতেই দেরীর ফল এটা।