“আমরা অনেকসময় কাটাতে পারব, ধৈর্য ধরুন। নিয়ম মেনে পূজা কাটাবার চেষ্টা করুন”- অভিনেত্রী সোহানা সাবা
নিউজ ডেস্কঃ বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। আট থেকে আশি সকলেকেই আনন্দে কাটাতে দেখা যায়। বিশেষ করে সারা বাংলার অর্থাৎ সারা ভারতবর্ষ এবং বাংলাদেশেও এই পূজা ধূমধাম করে পালন করা হয়। ছোট বড়, উচ্চ নীচ, জাত পাত ধর্ম ভুলে গিয়ে এই বাঙালি মেতে ওঠে এই উৎসবে। ঠিক সেরকমভাবেই অভিনেতা, অভিনেত্রীরা পূজার দিনগুলি ধূমধাম ভাবে কাটান। তবে এই বছরের পূজা বাকি বছর গুলির থেকে আলাদা। তাই তাদেরকে আলাদা করে প্ল্যান করতে হচ্ছে। কারন করোনার কারনে বাইরে বেরনোটা খুব একটা সুবিধার নয়, আর সেই কারনেই বাড়ির মধ্যে থেকেই তাদের প্ল্যান করতে হচ্ছে।
সোহানা সাবা। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী। তিনিও বাড়িতে থেকেই এই দুর্গাপূজা কাটাবার প্ল্যান করেছেন। এই বছরের পূজা তিনি কিভাবে কাটাবেন তা জানালেন।
প্রশ্নঃ পূজা কিভাবে কাটাবে এই বছর?
বাংলাদেশে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পাশেই আমার মাসির বাড়ি। সেখানেই ছোটবেলা থেকে পূজা কাটাই। অর্থাৎ মাসি বাড়ির যাওয়ার পথেই পরে, সেখানে আমি পূজাটা দেখে এবং আনন্দ করেই মাসির বাড়ি যেতাম। তবে এবার তো সেটা সম্ভব নয়। তবে বাড়িতে পূজার উপহার, নারু আসছে। তবে ভীষণ খারাপ লাগছে। বাড়িতেই উৎসবটা পালন করার চেষ্টা করছি।
প্রশ্নঃ পূজার কেনাকাটা কতদূর?
বরাবরই অনালাইনে শপিং করি। এখন তো বাড়িতে বসে শপিং করা ছাড়া সেভাবে কোনও এন্টারটেন্মেন্ট নেই। বাড়িতে বসেই শপিং করেছি। শাড়ি কিনে নিয়েছি, যেটা পূজাতে পড়ব।
প্রশ্নঃ কোন রঙের ড্রেস এবার পরবে বলে ঠিক করেছো?
এবার লাল রঙের ড্রেস পড়ব বলে ঠিক করেছি।
প্রশ্নঃ পুজোর পাঁচটা দিন কিভাবে সাঁজতে চাও?
শাড়ি পড়লেই আমাকে বেশি ভালো লাগে। সকলেই সেটা বলে। শাড়ি পড়ার ইচ্ছা আছে।
প্রশ্নঃ পূজায় পেট পূজা কিভাবে করবে?
এবার ইচ্ছা আছে চিটাগং অর্থাৎ চট্টগ্রাম এ যাওয়ার। সেখানেই গিয়ে ভুঁড়িভোজ বা পেটপূজা হবে আশা করি।
প্রশ্নঃ করোনা সতর্কে দুর্গা পূজা কাটাতে হবে। ফ্যান ফলোয়ান্সদের এব্যাপার কি বলবে?
আমরা জানতাম না যে এরকম একটা সময় আসতে চলেছে পৃথিবীতে। প্রথম দিকে সবাইকে বলেছি যে বাড়ির বাইরে বেরবেন না, কিন্তু সেটাতো সম্ভব না। বাইরে বেরোতে হবে তবে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে, মাস্ক পরতে হবে। এই সময় নিশ্চয়ই একটা দিন বদলাবে। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। বেঁচে না থাকলে হয়ত এগুলি আর পালন করা সম্ভব হয়ে উঠবে না। সামনে আমরা অনেকসময় কাটাতে পারব, ধৈর্য ধরুন। নিয়ম মেনে পূজা কাটাবার চেষ্টা করা দরকার। বেঁচে থাকতে হবে, সামনের বছর আমরা নিশ্চয়ই ভালোভাবে পূজা কাটাতে পারব।