পাকিস্তান এবং চীনের বিরুদ্ধে লড়তে এই বিমান বাড়ানো হতে পারে। এর অত্যাধুনিক টেকনোলোজি চীন, পাকিস্তানের ভীত নড়াতে পারে
নিউজ ডেস্কঃ নেত্রা এ্যওয়াক্স। ভারতের যুদ্ধবিমানগুলিকে একাধিক সময় সাহায্য করে এসেছে। বিশেষ করে কিছুদিন আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আট্যাক করা হয়েছিল যখন, সেইসময়য় এই এ্যওয়াক্স এক বিরাট ভূমিকা পালন করে।
নেত্রা এ্যওয়াক্সে যে পাশে সাদা চকচকে অংশটা দেখছেন এটা Electronic Intelligence বা (ELINT) বলা হয়। এর মাধ্যমে যেকোনো ট্যকটিকাল ডাটা লিংক, কমিউনিকেশান লিংক(যোগাযোগের ব্যবস্থা) এর মত বিভিন্ন ইলেকট্রিক সিগনাল ইন্টার্সেপ্ট করতে সক্ষম নেত্রা। আর ওপরে কালো অংশটা হল Satellite Communication বা (SATCOM)। যেমনটা নাম বলছে। এর মাধ্যমে ভারতীয় স্যাটেলাইটের সাথে গ্রাউন্ড কন্ট্রোল রূম এবং অন্যান্য যুদ্ধবিমানের সাথে যোগাযোগ লিংক স্থাপন করে নেত্রা।
নেত্রা এ্যওয়াক্স একটি ব্যটেল প্রুভেন এ্যওয়াক্স। যার রেডার রেঞ্জ ৫০০কিমি। এটি একটি এস ব্যন্ড এসা রেডার ব্যবহার করে। শুধু ফাইটার নয়। ক্রুজ মিসাইল, ব্যলেস্টিক মিসাইলের আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম হিসাবে কাজ করে। প্রয়োজনে সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল(ভুমি থেকে আকাশে) বা এয়ার টু এয়ার(আকাশ থেকে আকাশে) মিসাইল গাইড করে। এই নেত্রা সিস্টেমের শুধু বিমান ছাড়া আর সব সেন্সার রেডার ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স ভারতের ডিআরডিও এর তৈরি।বালাকোটে অপরেশানের সময় নেত্রা সেনাবাহিনীর ১২টি মিরাজকে গাইড করেছিল আর পাক বিমানবাহিনীর ডাটা লিংক জ্যাম করেছিল।
একাধিক সূত্রের মতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর নিজের ফ্লিটে ২৯টি নেত্রা রাখার প্ল্যান আছে। ভবিষ্যতের গ্রাউন্ড অ্যাটাক অফেন্সিভ মিশনে কমবেট ড্রোন হবে প্রধান অস্ত্র। তবে এখনও পর্যন্ত মাত্র ৩ টি সার্ভিসে আছে। এতোদিন ধরে এর সংখ্যা কেন বাড়ানো হয়নি? সে প্রশ্নের উত্তর হয়ত ডিফেন্স এনালিস্টরাই দিতে পারবেন।