সমাজে আলোর দিশারি টলি তারকা প্রিয়ঙ্কা সরকার
নিউজ ডেস্কঃ “কিছু দিন আগে পশ্চিমবঙ্গের একজন নামকরা ব্যাক্তি সল্টলেকের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় ফুটপাতের পাঠশালাকে দেখে দাঁড়িয়ে যায়।সেটাকে ফেসবুকে পোস্ট করে। এবং সেই পোস্টে আলোর দিশারী পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সেখ রাহানাতুল্লা (রানা) পরিবারের কর্মকাণ্ড ও চিন্তা ভাবনা নিয়ে কমেন্ট করেন। সেই কমেন্ট পড়ে বেশ কিছু মানুষ যোগাযোগ করতে থাকে।তার মধ্যে অন্যতম বাংলা টলিউডের অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার। তিনি সরাসরি তার এসিস্ট্যান্টের মাধ্যমে রানার সাথে যোগাযোগ করে। ওই ফুলের মতো শিশুদের মুখের হাসির ভাগিদার হতে ভালোবাসার টানে এগিয়ে আসার আহ্বান ও জানান। এই কঠিন পরিস্থিতিতে কলকাতায় অবস্থিত ফুটপাথে ও বস্তিতে জীবন যাপন করা অসহায় অবহেলিত সুবিধা বঞ্চিত মানুষগুলোর জন্য কিছু করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সেই মতো সম্পাদক সেখ রাহানাতুল্লার (রানা) সঙ্গে অভিনেত্রী ফোনে কথা বলেন। তারপর সম্পাদক বেশ কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তালিকা তৈরি করে দেন।সেই মোতাবেক খাতা, সিলেট, পেন্সিল , ত্রিপল,মাজা , চিপস্ ও ক্যাডবেরি নিজে গতকাল মৌলালীতে নিয়ে আসেন। প্রিয়াঙ্কা ত্রিপল তুলে দেয় প্রয়োজনীয় মানুসঘদের হাতে।
তার পাশাপাশি কোডিড ১৯ করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে মোকাবেলা করতে হু এর নির্দেশ অনুযায়ী স্যানিটাইজার ব্যবহার করাটা অত্যন্ত জরুরি। স্যানিটাইজার ও পানীয় জল উপহার দেন আলোর দিশারী পরিবারের শুভাকাঙ্ক্ষী বিশিষ্ট সমাজসেবী আসানুর মোল্লা।ও মাস্ক উপহার দেন আলোর দিশারী পরিবারের সদস্যা তাহেরা ম্যাডাম। এছাড়াও আমরা আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে টিফিন , বাচ্চার দুধ , উত্তরীয় , ফুলের তোড়া সহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন।
প্রশাসনের তরফ থেকেও যথাযথ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যাদের সাহায্য ব্যতিরেকে এই অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সহজ হতো না। আলোর দিশারী পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন অভিভাবক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী আনিসুল করিম স্যার,জাহিরুল হাসান,সানিউর রহমান, নাসিম গাজী, ইনজামাম হক, আজগার আলী, রাকিবুল ইসলাম,সোমদত্তা বিশ্বাস,পাপিয়া খাতুন,খাদিজা খাতুন,আনিসা চৌধুরী, রাজিয়া ইকবাল সহ অনেকেই।”