পৃথিবীর ১০ টি দামী যুদ্ধবিমান
নিউজ ডেস্ক – বিশ্বের সবকটি উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সামরিক বিমান রয়েছে। তবে সব বিমান শক্তিশালী ও ব্যয়বহুল হয় না। সকলের জানা মতে সমর শক্তিতে পৃথিবীতে অন্যতম দেশগুলি হলো যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া। তবে একটি বাছাই করা তালিকা ১০টি সামরিক বিমান ও হেলিকপ্টার এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলি যথেষ্ট ব্যয়বহুল।
১) এফ/ এ-১৮ হর্নেট – যুক্তরাষ্ট্রীয় দেশের এয়ারফোর্সের নাম্বার ওয়ান মারাত্মক যুদ্ধবিমান হল এটি। এই যুদ্ধবিমানটি দিয়ে যুদ্ধ করা শুরু হয়েছিল ১৯৮০ সালে। এই বিমানটির ক্ষমতা অধিক থাকার কারণে এটি গ্রাউন্ড এবং এরিয়াল উভয় স্থানেই টার্গেট অ্যাটাক করতে সক্ষম। আগে এটি শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে দেখা যেত কিন্তু বর্তমানে ইউএস এয়ারফোর্স ছাড়াও এর অস্তিত্ব নজরে পড়ে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ফিনল্যান্ড, কুয়েত, মালয়েশিয়া, স্পেন এবং সুইজারল্যান্ডের মতো দেশগুলিতে। ইভি শিষ্ট যুদ্ধ বিমানের মূল্য প্রায় ৯৪০ লক্ষ ডলার।
২) ইএ-এইট্টিন জি গ্রাউলার – ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারের জন্য এফ/ এ -১৮ হর্নেট ফাইটার হল একটি অন্যতম অস্ত্রসজ্জিত সংস্করণ। বর্তমানে এটি মার্কিন নৌবাহরে কাজ করছে। এর বিশেষত্ব হলো এটি অ্যান্টি এয়ারক্রাফট রাডার অবজেক্ট খুঁজে বের করে শত্রুপক্ষের কমিউনিকেশন সিস্টেমে নিজের পাঠানোর সিগন্যালের মাধ্যমে পুরো জ্যাম করে শত্রুপক্ষের কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে সক্ষম হয়। এর আক্ষরিক মূল্য হল ১০২০ লক্ষ ডলার।
৩) ভি-টোয়েন্টিটু অসপ্রে – ২০০৭ সালে সাদ্দাম পরবর্তী ইরাকে হিংসা দমনের জন্য প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল এই যুদ্ধবিমানটি। এই বিমানটির বিশেষত্ব হলো এটি ফিক্সড উইনিং প্লেনের চাইতে বেশি দ্রুত উড়তে সক্ষম ছিল। যার কারণে এটি টিল্ট রোবটের মাধ্যমে যুদ্ধবিমান টি হেলিকপ্টার মধ্যে ওঠানামা করে। শুধুমাত্র এটুকুই ইতিহাস নয় মারাত্মক সাক্ষী থেকেছে এই যুদ্ধবিমানটি। এর মূল্য হল ১১৮০ লক্ষ ডলার।
৪) এফ-৩৫ লাইটনিং – ২০০১ সালে মার্কিন সমরবিভাগের সময়কালে সবচেয়ে বড় প্রজেক্ট সুপারসনিক ফাইটার শুরু হওয়ার সময় এই যুদ্ধবিমানটি ব্যবহৃত হয়েছিল। কিন্তু বেশ কিছু লবি বিশেষজ্ঞদের মতে ২০০৭-২০০৮ শালী কম্পিউটার হ্যাকারদের দ্বারা ৭.৫ মিলিয়ন কোডের তথ্য পাচারের সময় এই বিমানের তথ্যও পাচার হয়ে গিয়েছিল বলে অনুমান একাংশের। এছাড়াও এটি অত্যন্ত হালকা হওয়ার কারনে এবং অধিক পরিমাণ অস্ত্র বহনে অসমর্থ থাকায় অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে এটি খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এর আনুমানিক মূল্য হল ১২২০ লক্ষ ডলার।
৫) ইটুডি অ্যাডভান্সড হক-আই – এটি অত্যন্ত উন্নত মানের টার্গেটেড টেরিটোরির পাওয়ারফুল এবং অ্যাডভান্সড রাডার সিস্টেম। যেদিন নিজের ক্ষমতা থেকে অধিক ৩০০ শতাংশ এলাকা কভার করতে সক্ষম হয়। এটি গুণগত মান ভালো হওয়ায় এটি বর্তমানে আন্ডার ডেভলপ অবস্থায় রয়েছে । যদিও এ দুটি পরীক্ষামূলক সংস্করণ মার্কিন এদিকে সরবরাহ করা হয়েছে। পাশাপাশি আমেরিকার নৌবাহিনী এই যুদ্ধ বিমানের জন্য সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন। এর মূল্য হল ২৩২০ লক্ষ ডলার।
৬) ভিএইচ- সেভেন্টিওয়ান কেস্ট্রেল – এই যুদ্ধবিমানটি হাইটেক হেলিকপ্টার প্রজেক্টের মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাবেক চপার ফ্লিটের অন্তর্গত হয়েছে অর্থাৎ এই বিমানটি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তার পরবর্তী প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে পরিষেবা দিতে চলেছে আগামী দিনে। এর বর্তমান মূল্য ২৪১০ লক্ষ ডলার। কিন্তু মার্কিন কংগ্রেস এই কপ্টারের বাজেট বারিয়ে করেছে ৪৮৫০ লক্ষ ডলারে।
৭) পি-৮ এ পসাইডন – আগামী দিনে যুদ্ধবিমানটির ৭৮৭ জেটের সামরিক ভার্সনটি মার্কিন নেভির কাছে হস্তান্তর হতে চলেছে। যেটি আগামী দিনে মূলত সাবমেরিন যুদ্ধ এবং ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহের কাজে ব্যবহৃত হবে। তবেই সম্পূর্ণ দায়িত্ব পেতে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে মার্কিন নেভির এমনটাই জানাচ্ছে প্রোজেক্টের ডেভলপাররা। বর্তমানে এর মূল্য ২৯০০ লক্ষ ডলার।
৮) সি সেভেন্টিন এ গ্লোবমাস্টার – মার্কিন এয়ারফোর্সের সামরিক সরবরাহে নিয়োজিত সাধারণত যুদ্ধক্ষেত্রে মেডিকেল সার্ভিস দিয়ে থাকে। তবে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এয়ারড্রপ মিশনেও এটি ব্যবহার হয়ে থাকে। ১৯৯৩ সাল থেকে আমেরিকান এয়ার ফোর্সে এই যুদ্ধ বিমানটি ১৯০টি সি১৭ গ্লোব মাস্টার সার্ভিস দিয়ে আসছে। এছাড়াও ১০২ জন প্যারাট্রুপার একসঙ্গে এই বিমানের খোল থেকে ডাইভ দিতে পারে। এটি বিশিষ্ট যুদ্ধ আমেরিকার ইরাক আক্রমণ এবং লাদেন তালেবান বিরোধী আফগান যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছিল মালবাহী সামরিক বিমানটি। এই বিমানের মূল্য ৩২৮০ লক্ষ ডলার।
৯) এফ-৩৫ টোয়েন্টি টু ব়্যাপটর – যুক্তরাষ্ট্রের ভাষ্যমতে সবচেয়ে পারদর্শী যুদ্ধবিমান হল একটি। বিমানটির ম্যানুফ্যাকচারিং ডিজাইনার আমেরিকান নামকরা মিলিটারি কর্পোরেট লকহিড মারটিন। একদিকে যেমন বিমানটি শত্রুপক্ষের ক্রুজ মিসাইল উড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এছাড়া ভীতু তুমি মানে রয়েছে সাতটি সুপার সনিক স্পিড। সেক্ষেত্রে এত প্রয়োজনীয় ও মূল্যবান যুদ্ধবিমান আগামী দিনে আরও নির্মাণ করা হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট তর্ক-বিতর্ক চলছে মার্কিন সেনেটে। এই বিমানটি মূল্য হল ৩৫০০ লক্ষ ডলার। কিন্তু আগামী দিনে যদি এরকমই আরো কয়েকটি বিমান নির্মাণ করতে হয় তাহলে তার খরচ পরবে ১৬৭ কোটি ডলার এবং এ প্রকল্পটির সঙ্গে যুক্ত থাকবে ২৫ হাজারের অধিক প্রযুক্তিবিদ।
১০) বিটু স্পিরিট – এই যুদ্ধবিমানটি মূলত বোমারু বিমান। বর্তমানে আমেরিকার সামরিক বাহিনীতে ২০টি বোমারু বিমান রয়েছে। এই বিমানের বিশেষত্ব হলো ইনফ্রারেড, অ্যাকুইস্টেক এবং ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডার ভিজুয়াল এখনো পর্যন্ত শত্রুপক্ষের সীমানার মধ্যে কোন দিন ধরা পরেনি বিমানটি। এই বিমান ব্যবহৃত হয়েছিল ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের পর আফগানিস্তান তালেবান ও আল কায়েদা দমন অভিযানে এবং ২০০৩ সালের ইরাক আক্রমণে। ইটিং যুদ্ধ চলাকালীন যুদ্ধক্ষেত্রে বোমা নিক্ষেপের কাজ করতো। বর্তমানে এই বিমানের মূল্য ২৪০ কোটি ডলার।