এখানকার সাধারণ মানুষেরা নিজেদের বাড়িতেই ওয়াইন প্রস্তুত করে। মলদোভার অজানা কিছু তথ্য
নিউজ ডেস্কঃ ইউরোপের সবথেকে গরীব দেশের নাম জানেন? ইউরোপের পূর্বে অবস্থিত একটি গরিব দেশ হল মলদোভা যার সরকারি নাম রিপাবলিক অফ মলদোভা। এককালে এই মলদোভা দেশে মুসলমানদের শাসন চলত, মুসলিম শাসন কালে যার নাম ছিল বাগদান। পরবর্তীতে মলদোভা নদীর নাম অনুসারে নামকরণ করা হয়।1812 সাল থেকে মলদোভা কে রুশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মলদোভার রাজধানীর হল কিসিনেউ।
মলদোভা সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য হলো~
1. ইউরোপের সব থেকে গরিব দেশ হল মলদোভা। এখানকার বেশিরভাগ মানুষ সাধারণত কৃষি নির্ভর। তারা কৃষির ওপর ভিত্তি করে জীবন যাপন করেন।
2. মলদোভার সরকারি ভাষা হল মলদোভিয় ভাষা ও রোমানিয়া ভাষা। এছাড়াও 12 শতাংশ মানুষ রুশ ভাষাতে কথা বলে থাকেন। এখানকার জনসংখ্যা প্রায় 26 লাখ 81 হাজার।
3. জনসংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এটি অনেক পিছিয়ে এবং এই দেশকে সর্বনিম্ন মানবসূচক দেশ ও বলা হয় ।
4. মলদোভা সাধারণত সবথেকে বেশী সুস্বাদু ওয়াইন প্রস্তুতকারক দেশ হিসেবে পরিচিত। বেশিরভাগ মলদোভার সাধারণ মানুষেরা নিজেদের বাড়িতেই ওয়াইন প্রস্তুত করে।
5. পৃথিবীর সবথেকে বড় বোতল মলদোভায় স্থাপিত রয়েছে। এই বোতল আকৃতি স্থাপত্য মলদোভার তিরউনাকা গ্রামে রয়েছে।
6. এখানকার সকল দম্পতির ঘরে একটা বা দুটো বাচ্চাই থাকে। এখানকার মহিলারা বেশিরভাগ সময় ঘরের কাজে ব্যস্ত থাকে।
7. এখানে এক অদ্ভুত রীতির প্রচলন রয়েছে যদি কোন বাচ্চার দাঁত ভেঙে যায় তাহলে সেই দাঁত তারা বাড়ির ছাদের ওপর রেখে কাকেদের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলে এই সুন্দর দাঁতটি নিয়ে তুমি আমায় একটা শক্ত দাঁত উপহার দাও ।
8. মলদোভায় পৃথিবীর সবথেকে বড় গুহার সন্ধান পাওয়া গেছে জেটি ভূ-অভ্যন্তরের সঙ্গে সংযুক্ত বলে মনে করা হয়।
9. মলদোভার জিডিপি ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় সবথেকে কম এর কারণে মলদোভা কে ইউরোপের সব থেকে গরিব দেশ বল হয়।
10. মলদোভা ঘুরতে আসা পর্যটকদের সংখ্যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম এখানে প্রতি বছর 1000 জন ব্যক্তি ঘুরতে আসেন।
11. তিন বছরের রাজনৈতিক অচল অবস্থার পরে 2012 সালে মলদোভার বিচারপতি নিকোলি তিমোফতি মলদোভা রাষ্ট্রপতি হন।