জোর করে পুরুষদের ধর্ষণ
নিউজ ডেস্ক – সমাজের চেনা ছবিতে দেখা যায় মূলত মেয়েদের ওপর বল প্রয়োগ করে তাদের ধর্ষণ করে বহু পুরুষ। যার কারণে আজ সমাজে নিরাপদ নয় কোন মহিলারই। কিন্তু এমন একটি জায়গা রয়েছে যেখানে পুরুষ নয় মহিলারা বরং পুরুষদের জোর করে ধর্ষণ করে বা সঙ্গমে লিপ্ত হয়। এমন এক বিরল চিত্র দেখা গেল দক্ষিণ আমেরিকা ও দক্ষিণ আফ্রিকায় এক গুহাবাসী সম্প্রদায়ের উকুনদের মধ্যে। এছাড়াও এদের শারীরিক গঠন রয়েছে ভিন্ন। এখানকার সম্প্রদায়ের উকুনদের মধ্যে স্ত্রীদেহে রয়েছে পুরুষাঙ্গ ও পুরুষ দেহের হয়েছে স্ত্রীদের যোনি। এমন এক হাস্যকর বিষয় দেখে হতবাক বিজ্ঞানীরা।
এই সকল উকুনদের উপর বহু গবেষণা করে বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন এই সকল প্রজাতির জীবেরা গুহা প্রেমী হয়। অর্থাৎ জীবনের অর্ধেকটা সময় এরা গুহাতেই কাটায়। এর পাশাপাশি উকুনের সমাজে খাদ্দাভাব থাকার জন্য স্ত্রী উকুনরা পুরুষদের সঙ্গে যৌন মিলনে লিপ্ত হয়। যদিও সেখানে পুরুষদের ইচ্ছা আছে কি নেই সে বিষয়ে কোনো গুরুত্ব দেয়না তারা। তবে শুধু দুই-এক ঘণ্টার জন্য নয়। স্ত্রী উকুনরা প্রায় ৭০ ঘন্টা ধরে যৌন মিলনে লিপ্ত থাকে। এর পিছনে রয়েছে একটি বিশেষ কারণ।
জানা গিয়েছে সেখানে যথেষ্ট পরিমাণে খাদ্যাভাব থাকার জন্য পুরুষদের শরীর থেকে অধিক মাত্রায় শুক্রাণু নিজের শরীরের টেনে নেয় তারা। যার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে না খেয়ে থাকতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে এই যৌন মিলনের সময় পুরুষদের দেহ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও নিজেদের যৌন কার্য অব্যাহত রাখে স্ত্রী উকুনরা। তবে গোটা বিশ্বের মধ্যে শারীরিক গঠন একমাত্র এই উকুনদের মধ্যেই দেখা যায়। কিন্তু ঠিক কী কারণে এমন ক্রশ জেন্ডার সে বিষয়ে বর্তমানে গবেষণা জারি রেখেছেন বিশেষজ্ঞরা।