হৃদযন্ত্র কে শক্তিশালী করতে ছোলা, আদার পাশাপাশি যে জিনিস গুলি খাবেন
নিউজ ডেস্কঃ বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে হার্টের সমস্যা দেখা যায় অনেকেরই। আর সেই জন্যেই সময় থাকতে থাকতে হৃদযন্ত্রকে শক্তিশালী করে তোলা উচিত আমাদের। সঠিকভাবে হৃদযন্ত্রের যত্ন নিলে পরবর্তীকালে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায় সহজেই আর এর জন্য দরকার পড়ে না কোন ঔষধের ও। হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে শুধু কিছু নিয়ম মেনে জীবন যাপন ও প্রত্যেকদিন এর ডায়েটে কয়েকটি খাবার যোগ করাই যথেষ্ট।
আসুন জেনে নেওয়া যাক আমাদের হৃদযন্ত্র কে শক্তিশালী করে তুলতে পারে এমন কয়েকটি খাবারের নাম
১। ছোলা বা চানামটর
ছোলা বা চানা মটর আমাদের হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী ।দেখতে ছোট হলেও এর গুন নেহাত কম নয়।এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাসিয়াম, ভিটামিন সহ নানা পুষ্টিগুণ যা আমাদের শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হৃদযন্ত্র কে সুস্থ রেখে হৃদ রোগের আশঙ্কা কমায় অনেকটাই ।
২। কফি
কফি ছাড়া বেশিরভাগ মানুষেরই দিনটাই যেন হয় না সম্পূর্ণ।কর্মব্যস্ত জীবনে এই কফি দেয় আমাদের অফুরন্ত এনার্জীর যোগান। কফি কতটা খাওয়া উচিত বা বেশি কফি খেলে কি কি ক্ষতি দেখা দিতে পারে সে সমস্ত নিয়ে বিতর্ক চলবে কিন্তু, হৃদযন্ত্রের সুস্থতার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে কফি প্রত্যেকদিন গ্রহণ করা যে অত্যন্ত ভালো তা নিয়ে নেই কোনো দ্বিমত ।নির্দিষ্ট পরিমাণে কফি প্রত্যেকদিন সেবন করলে তা হার্টঅ্যাটাক,হার্টফেল, করোনারি ডিসিজ প্রভৃতি আশঙ্কা কমায় ।
৩। ক্র্যানবেরি
ক্র্যানবেরি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এটি বিভিন্ন গুণে ভরপুর । ক্র্যানবেরিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ হৃদরোগের সমস্যা তো কমেই সেইসাথে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, দাঁতের সমস্যা, ক্যান্সারের মতো ভয়ংকর অসুখ এর আশঙ্কাও অনেকটাই কমিয়ে দেয়। তাই ,প্রত্যেক দিনের ডায়েট অল্প পরিমাণে হলেও ক্রানবেরি যোগ করতে ভুলবেন না একদমই ।
৪। ডুমুর
ডুমুর গ্রাম বাংলার এক অত্যন্ত পরিচিত ফল। তবে ফল হিসাবে এর সেরকম কদর না থাকলেও এর উপকারিতা কিন্তু প্রচুর।ডুমুর থাকা ক্যালসিয়াম,ফাইবার হৃদযন্ত্র কে সুস্থ রাখতে অত্যন্ত উপকারী। আর শুধু তাই নয় কার্ডিওভাসকুলার প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রেও এর তুলনা নেই কোনো।
৫। ফ্ল্যাক্স সিড
স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে ফ্ল্যাক্স সিড অত্যন্ত পরিচিত ।প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ ফ্ল্যাক্স সিড স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অত্যন্ত কার্যকরী। সেই সঙ্গে যারা মাছ খান না তাদের শরীরে ওমেগা 3 এর অভাব পূরণে একটি আদর্শ।এতে থাকা ইস্ট্রোজেন,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ বিভিন্ন খনিজ আমাদের শরীরকে ভেতর থেকে রাখে সুস্থ ।
৬। লাল ক্যাপসিকাম
ক্যাপসিকাম আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বিশেষত লাল ক্যাপসিকাম হূদযন্ত্রের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।হৃদযন্ত্র কে সুস্থ রাখতে নিয়মিত লাল ক্যাপসিকাম খাওয়া শুরু করুন।এতে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে এবং রক্তচাপ কেও এটি নিয়ন্ত্রণে রাখার হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমে যায় অনেকটা ।
৭। আদা
আদা যে কোনো আমিষ রান্নার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ।তবে, আদা যে কেবল স্বাদ বৃদ্ধি করে তা কিন্তু নয় এটি হৃদযন্ত্রের সুরক্ষা কবচ হিসাবে কাজ করে। নিয়মিত আদা খেলে উচ্চ রক্তচাপ থাকে নিয়ন্ত্রণে এমনকি আদা কার্ডিওভাসকুলার রোগ ও করোনারি হার্ট ডিজিজের আশঙ্কা কমায়।
৮। গ্রিন টি
স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের মধ্যে বর্তমানে গ্রিন টি অত্যন্ত পপুলার ।আর তার রয়েছে যথেষ্ট ভাল কারণ ও। প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই পানীয় ট্রাইগ্লিসারয়েড, কোলেস্টেরল, এলডিএল কমায় এবং শরীর ও হৃদযন্ত্র কে রাখে সুস্থ ।
৯। কিডনি বিনস
শীতকালে সবচেয়ে সহজ প্রাপ্ত সবজি গুলির মধ্যে অন্যতম হল শিম। আর এই শিম কিন্তু শরীরের জন্য নেহাত কম উপকারী নয়।শিমের বিজে থাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ফলে প্রোটিন ফাইবার প্রভৃতি যা সব ধরনের ক্যান্সারের আশঙ্কা কমে যায় অনেকটা।
১০। কমলা লেবু
শিম এর মতই কমলালেবু ও শীতকালে অত্যন্ত সহজে পাওয়া যায়।এই কমলালেবু খেতে যে কেবল সুস্বাদু তাই নয়,এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পটাশিয়াম খনিজ পদার্থ প্রভৃতি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় অনেক ।