অফবিট

সত্যিই কি এলিয়েন রয়েছে! কি বলছে প্রমান!

নিউজ ডেস্কঃ এই সুবিশাল পৃথিবীর বিভিন্ন কোণে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে হাজার হাজার রহস্য ।বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে তার মধ্যে কিছু কিছু রহস্যের সমাধান হয়েছে অবশ্যই কিন্তু এখনো এমন বেশ কিছু রহস্য রয়ে গেছে বিজ্ঞান ও যার কোন ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। আর এই ধরনের রহস্যগুলো আমাদের মনে প্রশ্ন জাগায় পৃথিবীতে কি সত্যিই এমন কিছু রয়েছে যা আমাদের মানুষদের সাধারণ বোধবুদ্ধির বাইরে!সত্যিই কি রয়েছে এলিয়েন ? নাজকা লাইন হল এরকমই একটি রহস্য ।

ভাবছেন তো কি এই নাজকা লাইন ?এটি পেরুর লিমা শহর থেকে 400 কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে অবস্থিত নাজকা মরুভূমিতে প্রায় 450 বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য জ্যামিতিক নকশা ওবিভিন্ন জীবজন্তু,ফুল, অদ্ভুত প্রাণী দের চিত্র।জানলে অবাক হবেন এই এক একটা ছবির দৈর্ঘ্য প্রায় 200 মিটার এর মত ।

এই নাজকা লাইন কিন্তু আবিষ্কৃত হয়েছে 1930 সালে ।এই মরুভূমির উপর দিয়ে সেই সময় প্রথম প্লেন চলাচল শুরু হলে প্লেনের যাত্রীরা খেয়াল করেন এই অদ্ভুত নকশাগুলি ।তারপরে আলোড়ন পড়ে যায় গোটা পৃথিবী জুড়ে ।তবে এত বছর হয়ে গেলেও এই অদ্ভুত জ্যামিতিক নকশা গুলির রহস্য কিন্তু এখনো ভেদ করা সম্ভব হয়নি ।তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এই নকশাগুলির মানে যদি উদ্ধার করা সম্ভব হয় তাহলে হয়তো পৃথিবীর ইতিহাস সম্পর্কে ধারনা পাল্টে যাবে সকলের ।হয়তো আমাদের অজানা অনেক কিছুই জানতে পারবো আমরা ।আর সেই জন্যেই এত গুরুত্ব দেওয়া হয় এই নাজমা লাইনকে ।

এই চিহ্ন গুলির মানে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব না হলেও গবেষণায় জানা গেছে আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব 400 থেকে 650 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এই নকশা গুলি তৈরি করা হয় ।আর এটি আঁকা হয় মরুভূমির অত্যন্ত শক্ত পাথরের জমিতে । অতো বছর আগে উন্নত কোনরকম প্রযুক্তি ছাড়া পাথুরে এই জমিতে এমন রহস্যজনক নকশা আঁকা সম্ভব কি করে হলো তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন ।আর সবচেয়ে রহস্যজনক ব্যাপারটি হল এই ছবিগুলি এমন ভাবে আঁকা হয়েছে যে তা নকশা অনুযায়ী ঠিকঠাক আঁকা হচ্ছে কিনা দেখার জন্য কাউকে অন্তত 100 ফুট ওপরে উঠতে হবে ।কিন্তু সেই সময় তো মানুষ না উড়োজাহাজের ব্যবহার জানতো না অন্য কোন টেকনোলজির ।তাহলে কি করে সম্ভব হলো নিখুঁতভাবে এই নকশা আঁকা ?

আর এই প্রশ্নই বিশেষজ্ঞদের কয়েকটি দলে ভাগ করেছে ।কেউ কেউ মনে করেন এই অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল এমন এক উন্নত সভ্যতা যারা আকাশে ওড়ার প্রযুক্তি জানতো ।আর তা যদি সত্যিই হয়ে থাকে তবে পৃথিবীর ইতিহাস পাল্টে যাবে পুরোপুরি।তবে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদি সেই প্রযুক্তি আগে থাকত তবে তা হারিয়ে গেল কিভাবে ?

অপর আরেক দল বিশেষজ্ঞরা মনে করেন হয়তো সত্যিই এলিয়েনদের সৃষ্টি এই নাজমা লাইন ।4 থেকে 6 ইঞ্চি গভীর এই নকশার একেকটি লাইন ।কোনরকম প্রযুক্তি ছাড়া শক্ত এই পাথুরে জমিতে এত বড় নকশা তৈরি করা সেই সময়ের মানুষের পক্ষে অসম্ভব বলে তারা মনে করেন ।এমনকি বিখ্যাত সুইস বিজ্ঞানী এরিখ ভন দানিকেনের ওয়্মদ ও মনে করেন এখানকার অধিবাসীরা এলিয়েনদের সহায়তায় তৈরি করেছিল এই নকশাগুলি।তিনি মনে করেন এলিয়েনদের স্পেসশিপ ওঠানামা করতে এখানে আর এই নকশাগুলি  মূলত স্পেসশিপ ওঠানামার সংকেত ছিল ।নতুনত্ব হলেও এই তথ্য প্রমাণ করা যায়নি সঠিক প্রমাণের অভাবে ।

কারা এই নাজকা লাইন তৈরি করেছিল সেই নিয়ে যেমন রহস্য রয়েছে তেমনি এই নকশাগুলি আসল মানে কি সেই নিয়ে রয়েছে নানা দ্বন্দ্ব।

অনেকে মনে করেন এখানকার প্রাচীন বাসিন্দারা বিভিন্ন ধর্মীয় রীতিনীতির অংশ হিসাবে তৈরি করেছিল নকশাগুলি । তারা  মনে করেন যে বৃষ্টিপাত প্রার্থনা ফসলের উৎপাদন প্রভৃতির জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা রংস ছিল এগুলি।

তবে এছাড়াও অনেকে মনে করেন যে এগুলো ছিল আসলে এক ধরনের অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ক্যালেন্ডার ।যা ব্যবহার করে সেই সময়ের প্রাচীন অধিবাসীরা দিন-তারিখ গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান প্রভৃতি সম্পর্কে ধারণা রাখার চেষ্টা করত ।কিন্তু সে ক্ষেত্রে পশু পাখির ছবি আঁকার কি দরকার ছিল সে নিয়েছে প্রশ্ন । 

এই এলাকাটির নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন মানুষের মধ্যে তবে,আবিষ্কার হওয়ার এত বছর পরও উদঘাটন করা যায়নি এখানকার রহস্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *