অফবিট

রেস্টুরেন্ট গুলিকে ফাইভস্টার এবং থ্রি স্টার রেটিং দেওয়ার নিয়ম কি জানেন?

নিউজ ডেস্ক –  বর্তমানে আমরা দেখে থাকি যে কোন তারকা কিংবা স্বনামধন্য ব্যক্তি ফাইভ স্টার হোটেল ছাড়া খেতে পারেন না কিংবা থাকতে পারেন না কোন সাধারণ হোটেলে। আবার অনেক সময় এটাও দেখা যায় যে আমরা কোন গ্যাজেট কিনতে গেলে বা অনলাইন শপিং করতে গেলে আগে রেটিংস কিংবা স্টার মার্ক দেখেনি। কোন জিনিস ভালো হলেই সেগুলোকে ফাইভ স্টার কিংবা ফোর স্টার দেওয়া হয়। তবে এই স্টার গুলো আসলে কি এবং কি জন্য দেওয়া হয় সেই বিষয়ে আলোচনা করা হবে এই প্রতিবেদনে। 

এক কথায় আমরা বলতে পারি যে কোন জিনিস ভালো হলে সেগুলোকে ফাইভস্টার রেটিং দেওয়া হয়। যেহেতু স্টার মানে তারকা সেক্ষেত্রে স্টারের উপরেই নির্ভর করে সেই জিনিস কিংবা হোটেলের যোগ্যতা। ছোট উদাহরণ হিসেবে থ্রি স্টার ও ফাইভ স্টার হোটেলের মধ্যে একটি পার্থক্য দেওয়াই যেতে পারে। 

থ্রি স্টার হোটেল গুলির এক্ষেত্রে দেখা যায়  ১৪ ঘণ্টা হোটেল খোলা থাকবে পাশাপাশি সেই হোটেলে সমস্ত রুম বুক করার সুবিধা ও থাকবে। একটু পয়সা বেশি দিলে রুমে খাবার পৌঁছে দেওয়া, রোজ রুম পরিষ্কার করে দেওয়া, পানীয় জলের পরিষেবা, বাথরুম পরিষ্কার সহ পরিষ্কার বেড কভারের সেবা পাওয়া এবং কোন অসুবিধা হলে কমপ্লেন জানানো ইত্যাদি এই সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। অর্থাৎ কোন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা থ্রি স্টার হোটেলে গিয়ে নিজের সাধ্যমত পয়সা দিয়ে প্রয়োজনীয় সময় মত থাকতে পারে। 

সে ক্ষেত্রে ফাইভ স্টার হোটেল গুলি ক্ষেত্রে মত পরিষেবা থাকার পাশাপাশি যে উপরোক্ত পরিষেবা গুলো পাওয়া যায় সেগুলি হল – পার্কিংয়ের বিরাট বড় জায়গা, ২৪ ঘন্টা হোটেল খোলা এবং ২৪ ঘন্টা খাবার ও পানীয় জলের পরিষেবা দেওয়া, হোটেলে ঢোকার সময় স্বাগত জানানোর জন্য দারোয়ান উপস্থিত এবং মালা দিয়ে স্বাগত জানানো প্রক্রিয়া সহ জিম, ব্যালকনি, হোটেলের লনে অনুষ্ঠান উপভোগ করা সহ এমন অনেক পরিষেবাই পাওয়া যায়। 

ডিজিটাল গেজেটের ক্ষেত্রেও ঠিক একই রকম প্রক্রিয়া থাকে। থ্রি স্টার কিংবা ফোর স্টার গ্যাজেট গুলি একটু কম উন্নত হয় এবং  সে দিক থেকে বিচার করতে গেলে ফাইভ স্টার গেজেট গুলির উন্নতমান একটু বেশি এবং সেটা বেশিদিন টেকশই হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *