মহাকাশে মৃত্যু হলে কিভাবে শেষ কৃত্য করা হয়ে থাকে?
নিউজ ডেস্ক – কম বেশী সকলেরই জানা আছে আকাশের উপরে একটি জগৎ রয়েছে যার নাম মহাকাশ। মহাকাশ মানেই মহাশূন্য যেখানে যাওয়া কারোর পক্ষে খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। এখানে একমাত্র জান অভিজ্ঞ প্রাপ্ত সকল মহাকাশচারীরা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে মহাকাশের ভূমিতে পদার্পণ করতে পারলেও কিছু কিছু মহাকাশচারীরা নিজেদের দেশে ফিরতে পারেননি। কিছু বিশেষ কারণে মহাকাশে প্রাণ ত্যাগ করতে হয়েছে তাদের। কিন্তু মহাকাশে মৃত্যু হলে তাদের শরীর নিয়ে কি করা হয় এই প্রশ্ন জেগেছে অনেকের মনেই। কারণ সেখানে কোন ভূমি না থাকায় এবং কোন ব্যবস্থা না থাকার কারণে মহাকাশে না দেহ দাহ করা যায় আর নাই দাফান করা যায়। তবে কি করা হয় এই সকল মহাকাশচারীদের মৃতদেহ নিয়ে! সেই বিষয়ে বলতে গেলে প্রাথমিকভাবে মহাকাশের ভৌগলিক অবস্থান সম্পর্কে বিচার বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।
মহাকাশ মানেই হলো এক মহাশূন্য। যেখানে কোনো ভারী বস্তু থাকা সম্ভব নয়। অর্থাৎ বৈজ্ঞানিক ভাষায় বলতে গেলে অতি অল্প পরিমাণ হাইড্রোজেন প্লাজমা, তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ, চৌম্বক ক্ষেত্র এবং নিউট্রিনো এই শূন্যে অবস্থান করে। তাত্ত্বিকভাবে, এতে কৃষ্ণবস্তু এবং কৃষ্ণশক্তি বিদ্যমান।কারণ রেডিয়েশন ও বায়ুশূন্যতায় শরীরের যত ব্যাকটেরিয়া আছে, ওগুলো মারা যাবে বা শীতনিদ্রায় চলে যাবে। লাশটা যদি পৃথিবীর কক্ষপথের সাথে চলে তবে তা কম চাপের কারণে সিদ্ধ হয়ে মমিতে পরিণত হবে। অনেকটা ইতালির পম্পেইতে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে ধ্বংস হওয়া নগরীতে যেমন লাশ উদ্ধার হয়েছিল তেমন। আবার যদি লাশটা পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে সৌরজগতের বাইরের দিকে থাকে, যেখানে তাপমাত্রা শূন্যের নীচে, লাশটা জমে শক্ত হয়ে যাবে। যেহেতু বায়ু শূন্যতায় তাপের পরিবহনও দ্রুত হয়না তাই এরকম হতে কয়েকদিন এমনকি কয়েক সপ্তাহও লেগে যেতে পারে। এই প্রক্রিয়াটা অনেক সময় মাউন্ট এভারেস্টে দেখা যায়। যখন কোন এভারেস্ট অভিযাত্রী মাউন্ট এভারেস্টে গিয়ে বরফের যানে আটকে পড়ে এবং বের হতে না পারেন সেই ক্ষেত্রে বরফের তলে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হলেও তার দেহে কখনো ঘটে না। বরফের নিচে থাকলে বছরের-পর-বছর দেহটি ভালো থাকে।