ভারতবর্ষের কোন লেক গুলিতে বারবার ছুটি কাটাতে আসেন বিদেশী পর্যটকরা?
নিউজ ডেস্ক – প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে বিদেশে পাড়ি দেয় দেশবাসীরা। তবে ভারতেও এমন কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে যে জায়গা গুলির মুখে পড়ে বারবার ছুটে আসে পর্যটকরা। পাহাড় বেষ্টিত লেক গুলির মধ্যে বিখ্যাত হলো –
১) প্যাঙ্গং সো, লাদাখ – লেহ থেকে ৫ ঘন্টা রাস্তা অতিক্রম করলেই বোঝা যাবে লাদাখে নীলরঙা নোনা জলের হ্রদ প্যাঙ্গংয়ে। এই পদের জল লবণাক্ত হলেও চারিদিকের পাহাড় থাকায় প্রতিমুহূর্তে সৌন্দর্যে ভরপুর থাকে গোটা লেক। যদিও এই জায়গা একেবারে উপযুক্ত চিত্রশিল্পীদের জন্য।
২)পরাশর লেক, মান্ডী – সন্ন্যাসী পরাশর মুনিকে উৎসর্গ করে হিমাচল স্টাইল মন্দিরের পাশে অবস্থিত লেকের নাম দেওয়া হয়েছে পরাশর লেক। মান্ডী থেকে মাত্র ৪৯ কিলোমিটার গেলেই সবুজে ঘেরা এই লেকের দর্শন পাওয়া যাবে। এখানকার বিশেষত্ব হলো ছোট কিংবা বড় সকলেই ট্রেকিং করতে পারবে।
৩) লেক পিচোলা, উদয়পুর – উদয়পুরের সিটি প্যালেসের উপর নির্মিত প্রায় চার কিমি দীর্ঘ ও তিন কিমি প্রস্থ কৃত্রিম লেক। তবে সামনা সামনি দেখলে কোনমতে এদিকে কৃত্রিম বলে মনে হবে না। এই লেকে রামেশ্বর হাট থেকে দীর্ঘ খুনের জন্য নৌকাবিহার করা যায়। এমনকি সূর্যদয় ও সূর্যাস্তের সময় নৌকা বিহারের সুব্যবস্থা ব্যবস্থা রয়েছে।
৪) চন্দ্রতাল লেক, স্পীত – চন্দ্রের ন্যায় অর্ধাকৃতির এই লেকটি লাহোল এবং স্পীতির কুঞ্জুম লা পাস থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ৪৩০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই লেকের জল স্যাফারারের নীল রঙের মতো। এমনকি এর চারিপাশ সবুজাভ দিয়েঘিরে থাকায় আদর্শ ও অপূর্ব পরিবেশ তৈরি করেছে।
৫) লোকতাক লেক , মণিপুর – উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় লেক লোকতাক লেক। এছাড়া এই লেকের অন্য মাধুর্য হলো ফ্লোরা এবং ফণার আকৃতি। এমনকি এখানে ভাসমান ফুমডিস রয়েছে। মাটি, গাছপালা ও নানান অর্গানিক ম্যাটারের পুঞ্জিভূত অংশগুলি লেকের উপর দ্বীপপুঞ্জের আকার তৈরি করেছে। যেখানে পর্যটকরা থাকতে পারে। আর এই সৌন্দর্যের জন্য এই লেক বিখ্যাত।
৬) সোমগো লেক, গ্যাংটক – নাথু লা পাস যাওয়ার পথে গ্যাংটক থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই লেকটি স্থানীয় ভাষা ছাঙ্গু নামে বেশি পরিচিত। তুষারবৃত সর্বোচ্চ শৃঙ্গ বেষ্টিত শোভায় অভিভূত পর্যটকরা। তবে এখানকার বিশেষ আকর্ষণীয় বিষয় হল লেকের চারিপাশে রংবেরঙের প্রার্থনা পতাকা।
৭) ডাল লেক, শ্রীনগর – কাশ্মীরের সৌন্দর্যকে বুঝতে গেলে ডাল লেকে অবশ্যই যেতে হবে। কারণ এখানে শীত হোক কিংবা গ্রীষ্ম একেক ঋতুতে এক এক রকম মনোরম সৌন্দর্য দেখা যায়। ১৫ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এই লেকে রাজাদের যুগ থেকে বহু হাউসবোট উপস্থিত রয়েছে। হিমশীতল আমেজের এই মনোরম লেকে বছরের প্রত্যেকটা দিনই ভিড় জমায় পর্যটকরা।
৮)চেম্ব্রা লেক, ওয়ানাদ – চেম্ব্রা শৃঙ্গ যাওয়ার পথে পর্যটকদের নজর কাড়ে এই লেক। স্থানীয় ভাষায় এই লেককে প্রেমীদের স্বর্গ বলা হয়। এই লেকের মহিমা ছাড়াও এখানকার পারিপার্শ্বিক প্রকৃতির সৌন্দর্য অপার।
৯) রূপকুন্ডু লেক, উত্তরাখন্ড – ৫-৬ দিন টানা ট্রেকিং করে রুপকুন্ডু লেকে পৌঁছাতে হয়। তবে এই লোকটিকে অনেকে রহস্যময় বা মিস্ট্রি লেক বলেও ডেকে থাকেন। কারণ এখানকার জল বছরের অর্ধেক দিন বরফ জমা থাকে। কিন্তু যখন বরফ গলে জলে পরিণত হয় তখন লেকের ভেতর দৃশ্যমান হয় মানুষের হাড় ও কঙ্কাল। যদিও এই রহস্যের পেছনে সাইন্টিফিক ব্যাখ্যা দিয়েছে বৈজ্ঞানিকরা। তবুও রহস্য লেগেই রয়েছে লেককে ঘিরে।
১০) ভেম্বানাদ লেক, কুমারাকম – ভারতের তথা কেরালার সবচেয়ে লম্বা লেক হল কুমারাকম। আশ্চর্যজনকভাবে এই লেগে বিশুদ্ধ আর নোনা জলের সংমিশ্রণে তৈরি যা নোনা জলের বেড় দিয়ে আলাদা করা। ক্ষেত্রেই এখানে এক মনোরম ও শান্ত শ্রেষ্ঠ পরিবেশ তৈরি হয়েছে।