ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আকাশে ওড়ার ক্ষমতা রাখে যে পাখী
নিউজ ডেস্কঃ এই বিশেষ পাখিটির প্রায় ১০০ প্রজাতি রয়েছে। এই পাখিটির নাম রেড-ব্রেস্টেড বার্ড। এই পাখিদের বুকের অংশ টকটকে লাল রঙের। এই পাখিরা তাদের লাল বুকটি অদ্ভুতভাবে ফুলিয়ে রাখে। এদের স্বভাব আরো অদ্ভুত। এরা দীর্ঘ পথ ওড়ার সময় আকাশে ভেসে দিব্যি ঘুমিয়ে পড়ে। নিজেদের এই ‘অটোপাইলট মোড’-এ ছেড়ে দিয়ে তাদের উড়তে কোনো সমস্যাই হয় না।
গবেষকদল জানিয়েছেন যে এই পাখিরা ঘুমের সময় তাদের অর্ধেক মস্তিষ্ক সচল রাখে আর তারা যখন ঘুমায় তাদের ব্যবহার খুব কম হয়। তা না হলে পাখিরা আকাশ থেকে সোজা মাটিতে পড়ে যাবে। তবে এই সুবিধার জন্য এরা আকাশে পুরোপুরি ঘুমিয়ে যায় এবং তাদের ঘুম নিরবচ্ছিন্ন থাকে ।
এর মাধ্যমে মানুষ সহ অন্যান্য প্রাণীর ঘুম সংক্রান্ত জটিলতা আরো পরিষ্কার হয়ে যাবে। পাখিদের পাখনা জল প্রতিরোধী না থাকাকালী সমূদ্রের উপর দিয়ে যায় তখন এরা ঘুমোতে পারে না। এরা স্থলে থাকার সময় 12ঘণ্টা ঘুমোয়।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে পাখিগুলো শরীরে আগের থেকে লাগানো যন্ত্রের মাধ্যমে তাদের শরীরে নড়াচড়াও চলাচল পর্যবেক্ষণ করতে পারা গিয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে ইতালিতে প্রজনন কাল কাটিয়ে তারা পশ্চিম আফ্রিকায় যায়। সে যাত্রাপথে পুরো ঠান্ডা চলে যায়। মাসের-পর-মাস তারা আকাশে কাটিয়ে দেয় এতে দেখা যায় তিন মাস একটানা আকাশে থাকে এই পাখিগুলো।
লুন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল পাখিগুলো নিয়ে গবেষণা করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় জৈব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আদেশক্রমে নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী গবেষণা করেছেন আর এটি পাখিদের মধ্যে একটি বিশ্বরেকর্ড। তিনি তিন বছর আগে দেখতে পেয়েছিলেন কমন রেড ব্রেস্টড বার্ড প্রজাতির পাখিগলো। এই পাখিগুলো একটানা 10 মাস আকাশে উড়তে পারেন। এরা এ সময় একবারও মাটিতে নামে না। তারা আকাশে উড়ন্ত পতঙ্গ খায় ।প্রতিদিন গড়ে 41 মিনিট ঘুমিয়ে নেয়। এই পাখিরা তন্দ্রাচ্ছন্নতা ডুবে যায় খুব অল্প সময়ের জন্য এবং প্রতিবাদ করে। এই পাখিরা সাধারণত মস্তিষ্কের অর্ধেকটা এ কাজে বের করে। অনেক সময় অবশ্য মস্তিষ্কের দুটি অংশ ব্যয় করেন। পঞ্চাশের দশক থেকে গবেষকদের ধারণা ছিল একটানা তিন মাসের বেশি সময় আকাশে উড়তে পারে। কিন্তু এইধারণা ছিল সম্পূর্ণরূপে অস্থায়ী।