অফবিট

পৃথিবীর সকল দেশকে টেক্কা দেওয়ার পথে চীন

নিউজ ডেস্ক – ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে পৃথিবীর সবচেয়ে গরিব দেশ হিসেবে আগে পরিচিত ছিল চীন। ১৯৯০ সালেও যে দেশটি ছিল পৃথিবীর অন্যতম দরিদ্র দেশ সেটি হঠাৎই বর্তমানে বিশ্বের এক নম্বর উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। সে কারণে অনেকেরই মনে কৌতূহল জাগে হঠাৎ করেই কি এমন হল যে চীন সকল দেশকে টেক্কা দিয়ে সর্বপ্রথম হয়ে উঠলো! এটি বলতে গেলে খুবই বিস্তারিতভাবে বলতে হবে। 

বর্তমানে আমেরিকা সহ একাধিক দেশকে টেক্কা দিয়েছে শুধুমাত্র চীন। এখানে বাচ্চাদের খেলনা থেকে শুরু করে মাথার চিরুনি পর্যন্ত চীন তৈরি করতে সক্ষম।  তবে চীনে কোন খনিজ সম্পদ নেই যে সেটি ভাঙিয়ে আজ এত উন্নয়ন হবে দেশটি। তাহলে এর আসল রহস্য কি! এর আসল রহস্য হলো দেশের জনসংখ্যা এবং সরকারের পরিকল্পনা। 

যেহেতু সৌদি আরব, আমিরাত, কাতার দেশ গুলির মতো চীন বিপুল পরিমাণে খনিজ সম্পদের অধিকারী না থাকলেও শুধুমাত্র মানব সম্পদকে কাজে লাগিয়ে আজ জাপান, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর সহ একাধিক দেশকে পেছনে ফেলে সকলের আগে এগিয়ে গিয়েছে চীন।  

জানা যায় চীনের সরকার তাদের দেশের জনগণকে সর্বোত্তম সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করেন। এমনকি একদা এক সময় টানা ১২ বছর দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধ রেখে শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের কারিগরের প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। সে কারণেই বর্তমানে চীনের অধিকাংশ মানুষ কারিগরি শিক্ষায় পটু হওয়ায় বর্তমানে সকল ইলেকট্রনিক কিংবা সাধারণ জিনিস তৈরি করতে সক্ষম চীন। এছাড়াও দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে মাইলের পর মাইল দীর্ঘ মহাসড়ক, ফ্লাইওভার সেতুর ও এক্সপ্রেস ওয়ে বানাতে থাকে চীন। সেই কারণে উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। সুতরাং কারিগরের সহজলভ্যতা ও উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থায় একমাত্র মূল কারণ চীনকে প্রথম সারিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। বর্তমানে চীনের সঙ্গে বিভিন্ন বৈদেশিক দেশগুলি বিনিয়োগ করে থাকে। উদাহরণ হিসেবে কয়েকটি বলাই যায় যেমন –  নোকিয়া, অ্যাপল, স্যামসাং চীনের সহজলভ্য কারিগরি অন্যতম । সে ক্ষেত্রে নানান কোম্পানির ফোনের পাশাপাশি এবার আইফোন বানাতে শিখে গিয়েছে চীন। যদিও প্রথমে তারা অ্যাপেলের আইফোন অ্যাসেম্বল করতো। সেই কারণেই বর্তমানে প্রযুক্তি পণ্য তৈরিতে বিশ্বের সর্বপ্রথম হওয়ায় একে  ইংলিশে বলা হয় ওয়ার্ল্ড লিডার। 

অন্যদিকে যেকোন উন্নয়নশীল জিনিস কিংবা ব্যক্তির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামে অপরজন। ঠিক সেরকমই পৃথিবীর টেক জায়ান্ট শাওমি, হুয়াওয়ে, ওয়ানপ্লাস টিমের প্রতিষ্ঠান চীন। তাই চীনের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন আমেরিকা। যদিও চীনে বেকারত্বের হার ৫ শতাংশ। তবে চীনের এই উন্নয়নের পেছনে নাগরিকদের সিংহভাগ হস্তক্ষেপের কারণে সরকার বাধ্য হয় তাদের প্রশংসা করতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *