পাঙ্গাস মাছকে বাজে মাছ বলার পেছনে কি কারন রয়েছে?
অত্যাধিক প্রোটিন এবং তৈল সমৃদ্ধ মাছ হল পাঙ্গাস। ইলিশ মাছের থেকেও এই মাছ একাধিক উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ। ওমেগা থ্রি ও সিক্স দুটোই ভালো পরিমানে পাওয়া যায়। ওমেগা সিক্সের চেয়ে ওমেগা থ্রি ভালো বেশি। পাংগাস নিয়মিত খান। আমিষ, ওমেগা থ্রি, চোখের জন্য উপকারী মিনারেল সব আছে পাংগাস মাছে। যেহেতু পাঙ্গাস মাছ নোংরা জলাশয়ে চাষ করা হয় তাই অনেকেই মনে করে থাকেন যে রুই ও ইলিশ মাছ ব্যবসায়ীরা নিজেদের ব্যবসার খাতিরে পাঙ্গাস মাছকে বাজে মাছ বলে প্রচার করছেন। অথচ এই মাছের পুষ্টিগুণের দিকে এক নজর দিলে দেখা যাবে যে প্রতি ১০০ গ্রাম মাছে ৯২ কিলোক্যালরি আছে শক্তি। প্রতি ১০০ গ্রামে ১৫ গ্রাম আমিষ বা প্রোটিন (যা ইলিশ মাছের কাছাকাছি (২০), সেজন্য একে পুকুরের বা গরীবের ইলিশ বলা হতো ঐ অপবাদের আগ পর্যন্ত)। এছাড়াও প্রতি ১০০ গ্রামে ৩.৫ গ্রাম চর্বি বা ফ্যাট থাকে, অথচ কোন শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট থাকে না। প্রতি ১০০ গ্রামে ৮০ মিলিগ্রাম (০.০৮%) আছে কোলেস্টরল (যা খুবই যৎসামান্য, স্বাস্থ্য ঝুঁকি নাই, বরং আপনাদের সুপেয় ও সুখাদ্য চিংড়িতে আছে এর তিন গুণ),
এছাড়াও ক্যালসিয়াম, আইরন, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, জিঙ্ক ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যথেষ্ট ও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। এই মাছ
সহজে চাষ করা যায়, দাম কম, সবার সামর্থের মধ্যে সবজায়গায় পাওয়া যায়।
সম্প্রতি এক জার্নালে গবেষকরা গবেষণা করে জানিয়েছেন যে, প্রতিনিয়ত পাঙ্গাস মাছ খেলে নাকি শরীরে ধীরে ধীরে মারণ রোগ ক্যান্সার বাসা বাঁধতে পারে। পাঙ্গাস মাছের থাকা উপাদান শরীরকে ধীরে ধীরে শেষ করে। কারণ পাঙ্গাস মাছ বড় হয় সাধারণ অবস্থাতেই। কিন্তু চাষ করা হয় ফার্মে। আর বাজারে যে পাঙ্গাস বিক্রি হয় সেগুলি সবই নির্দিষ্ট কারখানায় চাষ করা হয়। আর এখানেই বিষ হয়ে যায় পাঙ্গাস । ফার্মে পাঙ্গাসের স্বাদ বাড়ানোর ও সংখ্যায় বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয় নানা রকম রাসায়নিক সার। সঙ্গে বিষাক্ত কীটনাশক। ফার্মে পাঙ্গাস চাষে ব্যবহার করা হয় এমন কিছু রাসায়নিক যা থেকে ক্যান্সার হয়। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, সুস্থ ভাবে বাঁচতে অবশ্যই মাছ খান তবে পাঙ্গাস নয়।