মস্তিষ্কই মস্তিষ্ককে ভক্ষন করছে। কেন একথা বলা হচ্ছে?
খাওয়া ,দাওয়া আর ঘুম। ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই দিন কেটে গেল। এমন কতইনা বকুনি খেতে হয়েছে মায়ের কাছ থেকে। খালি ঘুমালেই চলবে, পড়ায় মনোযোগ করবে কে! অর্থাৎ ঘুম কমিয়ে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া কিংবা কাজের দিকে বেশি আগ্রহ দেখানোটাই যেন বর্তমান দিনের ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে। তবে একজন মানুষের পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে তার শরীরে একাধিক উপশম দেখা দিতে পারে বলেই এবার জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। শিশু হোক কিংবা সাবালক সকলেরই পর্যন্ত পরিমাণে ঘুম না হলে মস্তিষ্ক নিজেই নিজেকে ভক্ষণ শুরু করেন বলে দাবি জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
চিকিৎসকরা অনেক গবেষণা করে জানিয়েছেন যে, মানুষের মস্তিষ্ক গুলো সবচেয়ে জটিল অঙ্গ। এখানে প্রতিনিয়ত কিছু ভাঙা গড়া চলতেই থাকে। কাজেই সারাদিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর মানুষের পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম একান্তই প্রয়োজন। একটা মানুষের অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। কিন্তু এই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে যদি কোন মানুষ অল্প ঘুমায় তাহলে তার মস্তিষ্কই মস্তিষ্ককে ভক্ষণ করতে শুরু করে। অর্থাৎ মানুষের মস্তিষ্কে মাইক্রোগ্লিয়া কোষ থাকে। এই কোষের মূলত কাজ হল মস্তিষ্কের বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থগুলোকে ভক্ষণ করা।
একজন মানুষ যখন সারাদিন পর ঘুমাতে যান তখন তার মস্তিষ্কের সৃষ্টি হওয়া বর্জগুলি সেই ঘুমন্ত অবস্থায় মাইক্রোগ্লিয়া কোষ ভক্ষণ করে। যার ফলে সে যখন ঘুম থেকে ওঠে তার মস্তিষ্ক একেবারে পরিষ্কার থাকে। অথচ সেই ঘুম যদি পরিষ্কার ভাবে না হয় তাহলে মাইক্রোগ্লিয়া কোষ অধিক সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাদের ফ্যাগোসাইটিক মানে কোষের বর্জ্য খেয়ে ফেলা কাজে অনুপ্রেরণা দেয় এবং নিউরোইনফ্লামেশনের কোনো বড় লক্ষণ ছাড়াই, অর্থাৎ বড় সময়ের জন্য ঘুমের অভাব মাইক্রোগ্লিয়াকে প্রভাবিত করে এবং অন্যান্য সমস্যার ব্যাপারে মস্তিষ্ককে সংবেদনশীল করে তোলে। সে কারণেই এখনকার চিকিৎসকদের পরামর্শ হলো অক্লান্ত পরিশ্রমের মাঝেও ঘুমের জন্য সময় বের করা খুবই জরুরী।