অফবিট

“আন্ডার গ্রাউন্ড সিটি অফ কিউবা”। পৃথিবীর কোন দেশে রয়েছে?

এই বৃহৎ পৃথিবীতে দেশের সংখ্যা নেহাত কম নয়। আর এই এক একটি দেশে রয়েছে অসংখ্য বড় শহর ।এই প্রতিটা দেশ ও শহরের ভাষা সংস্কৃতি-ঐতিহ্য খাওয়া-দাওয়া ব্যবহার সবকিছুই সম্পূর্ণ আলাদা ।এই প্রত্যেকটি শহরে দর্শনীয় স্থানের ও নেহত অভাব নেই এবং সেই আকর্ষণে এই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ বিভিন্ন দেশে প্রতিবছর ঘুরতে যায় ।তবে যদি বলা হয় শুধু পৃথিবীর বুকে নয় এমনকি পৃথিবীপৃষ্ঠের অভ্যন্তরেও রয়েছে এক শহর ?অবাক হলেন নিশ্চয়ই খুব ।অবাক হওয়ার কথা হলেও এরকম একটি শহরের উপস্থিতি কিন্তু সত্যিই আছে ।

পশ্চিম কিউবার কাছেই সমুদ্রের ২,০০০ ফুটনিচে অবস্থিত এই শহর ।সমুদ্রের তলদেশে অবস্থিত হওয়ায় এর শহরকে “আন্ডার গ্রাউন্ড সিটি অফ কিউবা”বলে ডাকা হচ্ছে। তবে আশ্চর্যজনক ব্যাপার হল এত বড় একটা আস্ত শহর সমুদ্রের তলায় চাপা পড়ে রয়েছে এ কথা ২০০১ সালেরআগে  কোন মানুষ জানত না পর্যন্ত।

২০০১ সালে কিউবার পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত সমুদ্রের তলদেশ জরিপ করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন  এডভান্সড ডিজিটাল কমিউনিকেশন নামে কানাডিয়ান এক কোম্পানি  ইঞ্জিনিয়ার পলিন ও তার স্বামী পল ওয়েজে ওয়েগ এর নেতৃত্বে ।সমুদ্রের তলদেশে অদ্ভুত কিছু স্থাপত্য এই সময় তাদের চোখে পড়ে ।কৌতুহলী হয়ে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করতে শুরু করলে তাদের চোখে পড়ে সমুদ্রের তলদেশে থাকা বৃহৎ এই শহর এবং বিশ্ববাসীর সামনে উন্মোচিত হয় এই  রহস্যময় জায়গা ।

বিশেষজ্ঞরা এখানে এসে অনুসন্ধান শুরু করলে এই শহরে খুঁজে পাওয়া যায় পিরামিড বাড়ি ঘর বারান্দা রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে আরো নানারকম উন্নত স্থাপনা । আর জানলে অবাক হবেন গবেষণায় জানা গেছে এটি কোনো ছোটখাটো শহর নয় বরং এক গটা সভ্যতা ।মাটির আকৃতি দেখে জানা যায় যে এক সময় মাটির ওপরে এর সভ্যতা গড়ে উঠলেও কোন কারণে সমুদ্রের তলদেশে চাপা করেছিল সেটি। কিন্তু আবিষ্কৃত এই শহর নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন ।যেমন বিশেষজ্ঞদের মত অনুসারে কিউবার এই শহরটি সমুদ্রের তলদেশে ডুবে যেতে সময় লেগেছিল প্রায়  ৫০,০০০ বছর।অথচ এত প্রাচীন এক সভ্যতার খনন কার্য চালিয়ে পাওয়া গেছে মানুষের প্রয়োজনীয় সব রকমের আধুনিক জিনিসপত্র ।তাহলে এত বছর আগে এত উন্নত প্রযুক্তি বা চিন্তাভাবনা কি করে ছিল এখানকার মানুষদের ?এত বড় একটি শহর তৈরি করার  কৌশল  রক্তই বা কি করে করেছিল সেই সময়ের মানুষ তা নিয়ে বহু কৌতুহলী লোকজন প্রশ্ন তুলেছেন

অনেকেই মনে করেন অত প্রাচীন সময়ে এরকম এক উন্নত সভ্যতা গড়ে তোলার প্রযুক্তি জানা ছিল না সেই সময়ের মানুষের এবং এই সভ্যতা গড়ে তোলার কৃতিত্ব অনেকেই ভিনগ্রহের প্রাণীদের ই মনে করেন ।

আবার অনেকে মনে করেন এটি আসলে  ইতিহাসের পাতায় উল্লেখিত আটলান্টিস শহর ।কারণ প্রাচীন কাব্যে উল্লিখিত আটলান্টিসের সাথে এই শহরের বেশ কিছু মিল খুঁজে পাওয়া গেছে ।তবে নানা প্রশ্ন থাকলেও এখনো মানুষ পুরোপুরি ভাবে জানতে পারেনি এর সঠিক উত্তর ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *