অফবিট

মৃত্যুর পর মানুষের মৃত দেহ চাষের কাজে ব্যবহার করা হয় পৃথিবীর যে দেশটিতে

নিউজ ডেস্ক –  বর্তমানে গোটা বিশ্বকে গ্ৰাস করে রয়েছে করোনা মহামারী। কিভাবে এই মহামারীর থেকে ছাড়া পাওয়া যায় সেই নিয়েই সম্প্রতি চিন্তা ভাবনায় মশগুল একাধিক দেশ। কিন্তু এমন হাহাকার পরিস্থিতির মধ্যেও অমানবিকভাবে রাজ্যের বন্দি বাসিন্দাদের অত্যাচার করার পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে গিয়েছে এই দেশের সরকার। এমন একটি দেশ হলো উত্তর কোরিয়া। ‌

উত্তর কোরিয়ায় নজর দিলে দেখা যায় এখানে যেসকল দেশবাসীরা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে ও যে সকল সরকারি কর্মচারীদের পারফরম্যান্স ভালো নয় তাদেরই বন্দী করে নেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের উপর চালানো হয় অমানবিক অত্যাচার। ‌ এই সকল রাজনৈতিক বন্দীদের রাখা হয় শহরের পিয়ংইয়ং অঞ্চল থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে কায়েচং কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে।‌ এধরনের ক্যাম্পগুলোতে প্রথমে দেশদ্রোহীর পরিবার সহ বন্দি করে আনা হয়। এরপরই বন্দিদের সামনে তাদের স্ত্রীকে নির্যাতন করা হয় শিশুদের দিয়ে দিনমজুরের কাজ করানো হয়।  

ক্যাম্প থেকে নিজের প্রাণ বাজি রেখে দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়ে আসা একজন মহিলা। তার কাছেই পাওয়া যায় ক্যাম্পের ভিতরে চলা অমানবিক তথ্যের হদিস। জানা যায় ক্যাম্পে ৬ হাজার বন্দি রয়েছে। তাদের ভোর পাঁচটা থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত গরুর মতো খাটানো হয়। তাদের দিয়ে মূলত কয়লা খনি, বস্ত্র কারখানা, রবার, জুতো, সিমেন্ট ও চাষের জমিতে কাজ করানো হয়।  তাদের পরিশ্রম অনুযায়ী খাদ্য হিসাবে খেতে দেওয়া হয় বাঁধাকপি ও নুন ছড়ানো সেদ্ধ ভুট্টা। ‌ যার কারণে অনেকে অপুষ্টির কারণে কিংবা নানারকম রোগে আক্রান্ত হয় মারা যায়। অনেক সময় আবার বন্দীদের কাজ ভালো না হলে তাদেরকে মাঝেমধ্যে খেতে দেওয়া হয় না। সেই কারণে তারা জঙ্গলের সাপ, ব্যাঙ এবং বিষাক্ত পোকামাকড় সংগ্রহ করে খায়। যদিও তা খাওয়ার আগে নিরাপত্তারক্ষীদের অনুমতি নিতে হয়। তবে এখানেই অত্যাচার শেষ হয় নারীর নিরাপত্তা রক্ষীদের।

জানা যায় যে সকল বন্দিদের মৃত্যু হয় তাদের মৃত দেহগুলি স্থানীয় পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় ফেলে আসা হয়। পরবর্তী সেই অনুর্বর জমিতে কম্পোস্টের কাজ করে মৃতদেহগুলি। মূলত জমি গুলি উর্বর হয়ে গেলে সেখানে  সবজির ফলন করে সেই সবজি দিয়ে নিজেদের খুধা নিবারণ করে নিরাপত্তারক্ষীরা। বিগত কয়েক বছর ধরে চলে আসছে এমন নির্মম অত্যাচার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *