হৃদযন্ত্র ভালো থাকে। মস্তিষ্কের গঠন ভালো হয়। ইলিশ মাছের অসাধারন কিছু উপকারিতা
নিউজ ডেস্ক – কার না ভালো লাগে ইলিশ মাছ। বর্ষাকাল মানেই পাতে আসতে হবে আস্ত একটা ইলিশ। তবে ছোট ইলিশের থেকে অনেকেই বড় ইলিশ খেতে পছন্দ করেন। কারণ এটি বেশি সুস্বাদু হয়। তবে শুধুই কী সুস্বাদু! ইলিশ মাছে রয়েছে বেশকিছু উপকারিতা। মুখের স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরেও পুষ্টিগুণ দেয় এই ইলিশ মাছ।
বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ। এই মাছ মূলত সমুদ্রে বসবাস করে। তবে বাংলাদেশ ও পূর্ব ভারতের নদীর মোহনায় এসে এরা ডিম পারে। ডিম থেকে বাচ্চা হয় সেটি পূর্ণাঙ্গ মাছে পরিণত হতে সময় লাগে প্রায় ১-২ বছর। এছাড়াও একটি ইলিশ মাছের গড় আয়ু থাকে ৩.৬৫ বছর। তবে মাছ বড় হয়ে পুনরায় সমুদ্রে ফিরে যাওয়ার আগে বহু জেলেরা মাছ শিকার করে নেয়। বেশির ভাগ ইলিশের দেখতে পাওয়া যায় পদ্মা, মেঘনা ও গোদাবরী নদীতে।
ইলিশ মাছ সমুদ্র থেকে নদীতে ঢোকার পর জলের স্রোতের বিপরীত দিকে যাওয়ার কারণে এদের শরীরে চর্বি জমা হয়। যার কারণে এই ফ্যাট বা চর্বি মাছের স্বাদ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। গণনায় দেখা গিয়েছে পৃথিবীতে বেশি ইলিশ মাছ উৎপন্ন হয় বাংলাদেশ। ৬০ শতাংশ বাংলাদেশ থেকে ইলিশ পাওয়া যায়। তবে শুধুমাত্র ফ্যাট নয় ইলিশ মাছের শরীরে রয়েছে বেশকিছু খনিজ পদার্থ। যেমন – ইলিশ মাছে ওমেগা-৩, ফ্যাটি অ্যাসিড, সিলেনিয়াম, জিঙ্ক, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন ডি।
অন্যদিকে মুখের স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি ইলিশ মাছ খেলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে। মস্তিষ্কের গঠন ভালো হয়। রক্তে কোলেস্ট্রলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং আর্থারাইটিস বা বাতের ব্যথা হয় না। ডিপ্রেশন বা অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার কম হয়। এছাড়াও গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে ইলিশ মাছ খাওয়া খুবই উপকারী। কারণ ইলিশে উপস্থিত ডি এইচ এ ভূমিষ্ঠ হওয়ার শিশুর মেধা বৃদ্ধি করে। এমনটি যারা এই মাছ খায় তাদের ত্বক ও চুল ভালো থাকে।