অফবিট

হিন্দু দেবী সতীর একটি অংশ হিমাচলের কানাতালে আছে। যাবেন বেড়াতে!

নিউজ ডেস্ক  –   করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দীর্ঘ  কয়েক মাস ঘরবন্দি সকল মানুষ। তবে যখনই একটু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে তখনই ঘর ছেড়ে প্রকৃতির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে ভ্রমণপিপাসুরা। ঠিক সেইভাবে অনেকে নিরিবিলি জায়গায় যেতে পছন্দ করে যেমন পাহাড়-জঙ্গল কিংবা সমুদ্র । এবার সেই দিক থেকে লক্ষ্য করলে ট্যুরিস্টদের জন্য অন্যতম শান্তিপূর্ণ ও আকর্ষণীয় স্থান হচ্ছে উত্তরাখণ্ডের কানাতাল।  যদিও এর পেছনে রয়েছে বিশেষ কয়েকটি কারণ।

জানা যায় কানাতালে পাহাড় এবং হরিৎবনের মেলবন্ধন রয়েছে। এছাড়াও এই অঞ্চলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পাহাড়ে আঁকাবাঁকা রাস্তা ও নদীর মন্দগতি।  এই গ্রামের খাস জমি দেখলে মনে হবে কেউ যেন বেলবেটের সবুজ চাদর বিছিয়ে দিয়েছে।  এছাড়াও এখানে অন্যতম নিদর্শন হচ্ছে আপেলের বাগান।  এই অঞ্চলে সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসে আসলে আপেল দেখতে পাওয়া যায়। তবে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি এখানে  তুষার  দিয়ে আবৃত থাকে গোটা অঞ্চল। তুমি এখানে ঘোড়ার উপযুক্ত সময় হচ্ছে এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাস।  কানাতালে যেহেতু এত মনোরম পরিবেশ রয়েছে তাই এখানে টুরিস্ট স্পট কম নয়।  প্রতিবছরই ভিড় দেখতে পাওয়া যায়। অনেকে প্রাকৃতিক এই সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি ঘন জঙ্গলের মধ্যে ট্রাকিং কিংবা ক্যাম্পেইন করে থাকেন। ট্রাকিং করার জন্য কানাতালে রয়েছে একটি ঘন জঙ্গল যার নাম কোদিয়া।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ঊর্ধ্বে এখানে একটি আকর্ষণীয় স্থান হচ্ছে সুরকন্দ দেবীর মন্দির। পুরাণে কথিত রয়েছে সুরকন্দ দেবী হচ্ছে হিন্দু দেবী সতীর একটি অংশ।  কারণ বিষ্ণুর সুদর্শন চক্রের যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তখন তার মস্তক পড়েছিল হিমালয়ের কোলে অবস্থিত পাহাড়ি এলাকায়।  ৫১ টি সতী পিঠেরর মধ্যে এটিও একটি অন্যতম পিঠ।  তবে এখানে আর্কিটেকচারদের জন্য আরও  দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এর জনপ্রিয়তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *