রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। বিটের অসাধারন ৯ টি উপকারিতা
এ এন নিউজ ডেস্কঃ বাঙালির খাদ্য তালিকায় এমন কিছু অবাক করা শাকসবজি থাকে যা সত্যি সুস্বাদুর সাথে সাথে পুষ্টিকারক এবং বলকারক ও বটে।
রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক করেঃ বিটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রাটস। মুখে থাকা ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে এসে এই নাইট্রেট মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনা বাড়িয়ে তোলে।
লিভার ডিটক্সিফাই করেঃ ফাস্টফুড, স্পাইসিতে অভ্যস্ত জীবনে এমনিতেই লিভারের সমস্যা সঙ্গিন। বীটের জুসে থাকা বেটাইন নামে এক উপাদান কিন্তু লিভার ফাংশান ভালো করে। লিভার থেকে টক্সিন বের করে দেয়।
ঋতুচক্রের সমস্যা দূর করেঃ সময়ের আগেই মেনোপজের লক্ষন দেখা দিলে বা ঋতুচক্র সংক্রান্ত কোন সমস্যা হলে বিটা জুস খান।বিটে থাকা আয়রন নতুন লোহিত রক্তকনিকা গঠনে সাহায্য করে।যার ফলে ঋতুচক্রের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ক্যান্সার চিকিৎসায়ঃ বীটের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি টিউমার গুন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত কোষের হাত থেকে সুস্থ কোষগুলোকে বাঁচায়। নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে।
রক্তচাপ কমায়ঃ যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ভুগছেন দিনে অন্তত দুই গ্লাস বীটের জুস খান। বীটে থাকা উচ্চমাত্রার নাইট্রেট রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে।
রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়েঃ বিট হল হাই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। ফলে শরীর থেকে টক্সিন বের করতেও কাজে দেয়।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করেঃ যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে উচিত বেশি করে বীটে জুস খাওয়া। বিপাকের সমস্যা দূর করে হজমশক্তি বাড়ায়। পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়।
রক্তাল্পতা ও আয়রনের ঘাটতিঃ বীটে প্রচুর আয়রন থাকে যা লোহিত রক্তকনিকার জন্য অত্যন্ত জরুরি উপাদান। যে কারনে রক্তল্পতায় ভুগছেন বা যাদের আয়রনে ঘাটতি রয়েছে এই শীতে বেশি করে বিট খাওয়া উচিত।
পেশিশক্তি বাড়ায়ঃ মাসল ফোলাতে রোজ জিমে যাচ্ছে? তা ভালো, নিয়ম করে বীটে জুস খান। তার কারন বিট পেশিশক্তি বাড়ায়।