সুদর্শন চক্রের মতো পৃথিবীর ধ্বংসাত্মক শক্তিশালী ৪ টি পৌরাণিক অস্ত্রের নাম জানা আছে?
নিউজ ডেস্কঃ বেশিরভাগ পুরাণ অনুযায়ী ব্রহ্মাস্ত্র হল এমন একটি অস্ত্র যাকে এই বিশ্বব্রহ্মান্ডের সব থেকে শক্তিশালী অস্ত্র বলে মনে করা হয়।তাই এতদিন হয়ত আপনারা জানতেন যে ব্রহ্মাস্ত্রই সবথেকে শক্তিশালী অস্ত্র।কিন্তু এই ব্রহ্মাস্ত্র থেকেও নাকি শক্তিশালী অস্ত্র আছে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের যার সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষই জানেন না। ব্রহ্মাস্ত্র থেকেও শক্তিশালী অস্ত্র আছে ব্রহ্মাণ্ডে।আপনারা যদি বেদের অধ্যায়ন নিখুঁতভাবে করেন তাহলে জানতে পারবেন যে এরকম অনেক অস্ত্র আছে যেগুলি ব্রহ্মাস্ত্র থেকেও খুব শক্তিশালী ছিল।তাহলে জেনে নেওয়াক সেইসমস্ত অস্ত্র সম্পর্কে।
ব্রহ্মশির অস্ত্র বা ব্রহ্মশিরাস্ত্র : ব্রহ্মশির অস্ত্র যা ব্রহ্মাস্ত্রের থেকে ৪ গুন্ বেশি শক্তিশালী ছিল। তাই এই অস্ত্রটিকে যদি ব্রহ্মাস্ত্রের বিরুদ্ধে চালানো হতো তাহলে ব্রহ্মাস্ত্রকেও নাকি নষ্ট করে দেওয়া ক্ষমতা ছিল।বলা হয় যে এই অস্ত্রটি যখন চালানো হতো তখন ব্রহ্মাদেবের চারটি মাথার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠতো অর্থাৎ ব্রহ্মার চার মাথার শক্তি ছিল এই অস্ত্রটির মধ্যে।তাই এই অস্ত্রটিকে ব্রহ্মাস্ত্রের অতি বিকশিত রূপ বলা হয়।
ব্রহ্মান্ড অস্ত্র বা ব্রহ্ম দন্ড অস্ত্র : ব্রহ্মান্ড অস্ত্র এমন একটি শক্তিশালী অস্ত্র যা ব্রহ্মশির এবং ব্রহ্মাস্ত্র যদি একসাথেও এই অস্ত্রটির বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয় তাহলে নাকি এই দুটি অতিশক্তিশালী অস্ত্রকেও নস্ট করে দিতে পারে।বলা হয় যে এই এই অস্ত্রটি ছিল ব্রহ্মার পঞ্চম মাথার প্রতিরূপ। একবার বিশ্বামিত্র এবং বশিষ্ঠ মুনির মধ্যে যুদ্ধ লাগে। সেই যুদ্ধে বশিষ্ঠ মুনি ব্রহ্মান্ড অস্ত্র প্রয়োগ করতে বিশ্বামিত্র মুনি স্বীকার করেন যে এই অস্ত্রটি ব্রহ্মাস্ত্র এবং ব্রহ্মাশিরা অস্ত্রের থেকেও শক্তিশালী।
সুদর্শন চক্র : সুদর্শন চক্রের কথা তো আমরা সবাই জানি।কিন্তু এই অস্ত্রটি যে কতটা পরিমানে শক্তিশালী তার সম্পর্কে ধারনা খুব কম সংখ্যক মানুষের কাছে আছে।ভগাবন বিষ্ণুর এই অস্ত্রটি এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের শক্তিশালী অস্ত্র ব্রহ্মাস্ত্র, ব্রহ্মাশির অস্ত্র এবং ব্রহ্মাণ্ড অস্ত্রের থেকেও বেশি শক্তিশালী।ভগবান বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র তার পথে আসা যেকোনো বাধাকে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম।এছাড়াও এই অস্ত্রটি এতটা শক্তিশালী যে যদি একবার প্রয়োগ করা হয় তাহলে এই অস্ত্রটি তার নিজের লক্ষ্য পূরণ না করে ফিরে আসতো না।
পাশুপতাস্ত্র : পাশুপতাস্ত্রের নাম তো আমরা সবাই শুনেছি।এই অস্ত্রটি ছিল দেবাদিদেব মহাদেবের।যাকে ত্রিশূলের প্রতিরূপ বলা হয়।দেবাদিব মহাদেবের এই অস্ত্র এত পরিমানে শক্তিশালী এবং বিধ্বংসী ছিল যে এই অস্ত্রটি বহুদূরের এমন কোনো বস্তু যা দৃষ্টির আড়ালে রয়েছে তাকেও লক্ষ্য করে এই অস্ত্র চালনা করা সম্ভব ছিল।এছাড়াও এই অস্ত্রটি যার উপর প্রয়োগ করা হতো সে মুহূর্তে মধ্যে ভস্মে পরিণত হতেন এবং এই অস্ত্র দিয়ে নষ্ট করা জিনিস কখনো পুনরায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।তাই এই অস্ত্রটির ক্ষমতা এতটায় যে তার জন্য ভগবান শিব এই অস্ত্রের জ্ঞান বহুকাল ধরে নিজের কাছেই সীমিত রেখেছিলেন।তবে মহাভারত যুদ্ধের আগে ধনঞ্জয় অর্জুন মহাদেবের ঘোর তপস্যা করে এই অস্ত্রের জ্ঞান অর্জন করেন।