পুরুষদের শুক্রানুতে প্রভাব ফেলছে গাঁজা
নিউজ ডেস্ক — যুব সমাজের অনেকেই নেশা করতে গাঁজা সেবন করে থাকেন। কেউ ডিপ্রেশনে এসে কিংবা কেউ প্রেমে আঘাত খেলে এইসব করে থাকে আবার কোনো কোনো সময় সঙ্গদোষে অনেককে গাঁজা খায়। কিন্তু পুরুষের শুক্রাণু সংখ্যা কমে যেতে পারে এমনটাই দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি একটি বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক বিষয়ক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে যে গঞ্জিকা সংক্রান্ত গবেষণায় ব্যবহৃত হতো টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল বা টিসিএইচ ইঞ্জেকশন যার মূল সাইকোঅ্যাক্টিভ উপাদান। এটি ইঁদুরের উপর গবেষণা করে দেখা গেছে। ইঁদুরের ক্ষেত্রে এই গবেষণায় ব্যবহৃত হয়েছে গাজার ধোঁয়া যা মানুষের সেবন করা গাজার অনুরুপ। সুতরাং গবেষনা করে দেখা যাচ্ছে অল্পসময়ের ব্যবহারে গাঁজা হ্রাস করেছে ইঁদুরের শুক্রাণুর সংখ্যা। তবে শুধু এটি একটি প্রজন্ম নয় পরবর্তী একটি প্রজন্ম একটি ইঁদুরের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে সেই একই সমস্যা।
অর্থাৎ গবেষকদের মতে শেষ কয়েক দশকে বিভিন্ন কারণে প্রায় ৫৯ শতাংশ পুরুষের শুক্রাণু সংখ্যা। তবে শুধু সংখ্যা নয় শুক্রাণুর গতি বেগও যথেষ্ট হ্রাস পায়। এই শুক্রাণু হাসকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় বলা হয় অলিগোস্পার্মিয়া। সুতরাং কোনো ব্যক্তি যদি সন্তান ধারণের জন্য এক বছর ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছেন কিন্তু তারপরেও তিনি আরো বুঝতে হবে তিনি অলিগোস্পার্মিয়া রোগে আক্রান্ত। তবে এটা না যে শুধু গাঁজা সেবন করলে এই রোগটি হয়। অন্যান্য আরো শারীরিক ব্যাধি যেমন মানসিক চাপ, শুক্রাশয় এর সমস্যা বিভিন্ন যৌন রোগ, ডায়াবেটিস ,ক্যান্সার একাধিক রোগের কারণেও শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস পেতে পারে। সেই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।