শাস্ত্র অনুসারে পুজোর সময় বাড়িতে তিনবার কেন শঙ্খ বাজানো উচিত?
পুজো হোক বা কোন শুভ অনুষ্ঠান শঙ্খধ্বনি ছাড়া সব কিছুই অসম্পূর্ণ। কারণ শঙ্খকে অত্যন্ত শুভ শক্তি প্রতীক হিসাবে মনে করা হয় থাকে। এই প্রাকৃতিক উপাদানটির ব্যবহার আজ থেকে নয় চলে আসছে বহু বর্ষ ধরে। বিশ্বাস অনুসারে, শঙ্খ পরিবেশ থেকে সমস্ত ধরণের অশুভ শক্তিকে ধ্বংস করে এবং সমস্ত ধরণের নেতিবাচক শক্তিকেও দূর করে। হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, যে ব্যক্তি পূজার সময় শঙ্খ বাজায়, তার ফলে তার সব ইচ্ছা ভগবান পূরণ করেন।
শাস্ত্র অনুসারে নিত্য পূজার পরে নিয়ম করে শঙ্খ যদি তিনবার বাজানো যায় তাহলে অশুভ শক্তি প্রভাব হ্রাস পেয়ে শুভ শক্তি প্রভাব বৃদ্ধি পেতে শুরু করে গৃহস্থের অন্তরে। এর ফলস্বরূপ যেমন কোন খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কমে যায় ঠিক তেমনি ভাগ্য ফিরে যায়। এর ফলে সুখ শান্তিতে জীবন অতিবাহিত হতে সময় লাগে না।
শাস্ত্র অনুসারে পুজোর সময় বাড়িতে তিনবার শঙ্খ বাজানো উচিত। তবে যদি আপনারা তিনবারের বেশি শঙ্খ বাজান তাহলে আপনারা নিজেদের গৃহস্থের অকল্যাণ নিজেরাই ডেকে নিয়ে আসছেন। কারণ শাস্ত্র অনুসারে বলা হয়ে থাকে যে শঙ্খ ৩ বার বাজালে ব্রহ্মা,বিষ্ণু এবং মহেশ্বর এই তিন দেবতার সাথে সাথে আমন্ত্রিত হন সমস্ত দেবদেবীরা। তবে শঙ্খ তিনবারে বেশি বাজানোর অর্থ হচ্ছে দেবদেবীদের সাথে সাথে দানব বা অসুরদের নিমন্ত্রণ পাঠানো।
হিন্দু ধর্ম শাস্ত্র অনুসারে, যখন সমুদ্র মন্থন হয়েছিল সেই সময় “বলি অসুর”কে নিমন্ত্রণ পাঠিয়ে জাগ্ৰত করার জন্য অসুররা চারবার শঙ্খধ্বনি দিয়েছিল। সেই জন্য শঙ্খ তিনবারের বেশি বাজানো মানে আপনার গৃহে সৃষ্টি (ব্রহ্মা), স্থিতি (বিষ্ণু) ও বিনাশের (মহেশ্বর) দেবতাদের পাশাপাশি নিমন্ত্রণ পেয়ে প্রবেশ করবে আসুরিক শক্তিও। ভগবান বিষ্ণু ও দেবতাদের পাশাপাশি অসুরকে নিমন্ত্রণের ফলাফল হিসেবে নেমে আসতে পারে আপনার ও আপনার পরিবারের উপর এইসব দেবতাদের অভিশাপ। এই জন্য শাস্ত্র অনুসারে তিনবার করেই শঙ্খ বাজানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।