দেবাদিদেব মহাদেব ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে বাঁশি উপহার দিয়েছিলেন। তবে বাঁশিটি কোন ঋষির হাড় দিয়ে তৈরি হয়েছিল জানেন?
শ্রীকৃষ্ণ যিনি তাঁর বাঁশির সুর দ্বারায় গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে মোহিত করে দিতেন। এই বাঁশির সুরেই টানে সংসার ছেড়ে বেরিয়ে আসতেন শ্রীরাধিকা। শুধু রাধিকায় নয় যখন তিনি গোকূলে গাছের নীচে বসে বাঁশি বাজাতেন সেখানকার বাসিন্দারা সহ ভিড় করে আসত বনের প্রাণীরাও তাঁর বাঁশির সুর শুনতে। প্রেম, ভালোবাসা ও আকর্ষণের প্রতীক বলা হয় শ্রীকৃষ্ণের মোহন বাঁশিকে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এই বাঁশিটির নাম ছিল মহানন্দা। এটি ছাড়াও সম্মোহিনীও নামেও সম্বোধন করা হয় তাঁর এই বাঁশিটিকে। তবে শ্রীকৃষ্ণের হাতে সর্বদা বিরাজমান তাঁর প্রিয় এই বাঁশিটি কে দিয়েছিল এবং কি দিয়ে তৈরি ছিল এই বাঁশিটি?
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, স্বয়ং দেবাদিদেব মহাদেব ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে বাঁশি উপহার দিয়েছিলেন। পৌরাণিক তথ্য অনুসারে, শ্রীকৃষ্ণের এই বাঁশটি মহর্ষি দধীচির শরীরের হাড় দিয়ে তৈরি হয়েছিল। ভগবান বিষ্ণু শ্রীকৃষ্ণ অবতারে অবতীর্ণ হওয়ার পর একবার শ্রীকৃষ্ণের বাল্য রূপ ছোট্ট গোপালের লীলা দর্শন করতে মহাদেব গিয়েছিলেন। সেই সময় কৃষ্ণকে তিনিই ওই বাঁশি উপহার দেন। সেই থেকেই শ্রীকৃষ্ণের অতি প্রিয় হয়ে উঠেছিল বাঁশি।