মৃত্যুর আগে কি কি সংকেত পাঠান যমরাজ? কি বলছে হিন্দু ধর্মের গরুঢ় পুরাণ?
মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখা বিখ্যাত একটি লাইন “জন্মিলে মরিতে হবে,অমর কে কোথা কবে”। তাই যার জন্ম আছে তার মৃত্যুও নিশ্চিত। এই কথাটি চিরন্তন সত্য। তবে কার মৃত্যু কবে হবে তা কেউ বলতে পারে না। কিন্তু গরুর পুরান অনুযায়ী বলা হয় যে কোন ব্যক্তির জীবনে মৃত্যু কখনো আচমকা আসে না। মৃত্যু আসার আগে সেই ব্যক্তিকে জানান দেয় কিছু সংকেতের মাধ্যমে। বলা হয় মৃত্যুর আগে যমরাজি নাকি এইসব সংকেত পাঠান যা আমরা বুঝতে পারিনি। কি কি সংকেত পাঠান যমরাজ মৃত্যুর আগে?
জেনে নিন মৃত্যুর আগে কী কী সংকেত পাওয়া যায়?
*গরুর পুরান অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি মৃত্যুর আগে তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে তার সারা জীবনের সব কর্ম। ভগবান বিষ্ণু তার বাহন গরুর পাখিকে বলেছেন যে মৃত্যুর আগে প্রত্যেক মানুষের তাঁর সারা জীবনের কি ভালো কাজ করেছেন কি খারাপ কাজ করেছেন অর্থাৎ তাঁর সারা জীবনের সব কাজ ছবির মতো চোখের সামনে ভেসে ওঠে।
*হিন্দুধর্মের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বই হল গরুঢ় পুরাণ। এই পুরানে বলা রয়েছে যে, কোন ব্যক্তির মৃত্যুর আগে সে তার আশপাশে যমদূতদের দেখতে পান এবং সে নিজের কাছাকাছি নেগেটিভ এনার্জিকে অনুভব করে যার ফলে সে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
*গরুঢ় পুরাণ অনুযায়ী, কোন ব্যক্তির মৃত্যুর আগে সে চোখের সামনে কোনও রহস্যময় দরজা দেখতে পায় এবং ওই দরজা দিয়ে ধোঁয়া বেরোতেও দেখা যায়।
* কোন ব্যক্তির মৃত্যুর কিচ্ছুক্ষন আগে সে তার প্রয়াত পূর্বপুরুষদের স্বপ্নে দেখে। সেই ব্যক্তির সামনে তাদের পূর্বপুরুষরা কান্নাকাটি করেন। এই কারণে বলা হয় যে কারোর মৃত্যু কাছাকাছি এলে তা স্বপ্নে তিনি দেখতে পান।
*গরুঢ় পুরাণ অনুযায়ী, মৃত্যুর আগে হাতের রেখা আবছা হয়ে যায়। আবার অনেক সময় মৃত্যুর আগে পুরোপুরি হাতের রেখা মুছে গিয়ে হাত সাদা হয়ে যায়।