ত্বকের টোন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। চিনির ক্ষতিকর দিক গুলি জেনে রাখুন
মিষ্টি জাতীয় যেকোনো খাদ্য তৈরি করতে গেলেই আমাদের চিনির প্রয়োজন হয়। এছাড়াও সবজিতে কম বেশি আমরা অনেকেই চিনি ব্যবহার করে থাকি। চিনি আমাদের শরীরে শর্করার চাহিদা মেটায়।
কিন্তু জানেন কি? খাবার তৈরি ছাড়াও চিনির রয়েছে অনেক গুণগত মান। চিনির সঠিক ব্যবহার জানা থাকলে নিজেই পেতে পারেন এসব উপকার।
চলুন জেনে নেওয়া যাক চিনির উপকারিতা-
- দ্রুত শক্তি দেয়:
শরীরে শর্করার ঘাটতি হলে শরীরের শক্তি কমে যায়। আর চিনি খেলে শরীর তাৎক্ষণিক শক্তি পায়।
- ত্বকের টোন ঠিক রাখে:
চিনির মধ্যে রয়েছে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, যা ত্বকের টোনকে ঠিক রাখে। ত্বকের তৈলাক্তের ভারসাম্য রক্ষা করে, দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
- নিম্ন রক্তচাপ:
চিনি নিম্ন রক্তচাপকে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে । নিম্ন রক্তচাপ হলে চিনির শরবত বা চিনি খাওয়া যেতে পারে। যারা লো ব্লাড প্রেসারে ভোগেন তাদের সবসময় সঙ্গে চিনি রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।
- কাটাছেঁড়া:
চিনির দানা যেকোনো কাটাছেঁড়া জায়গায় প্রলেপ হিসেবে লাগালে অ্যান্টিবায়োটিকের মতো কাজ করে থাকে এবং ওই কাটা জায়গা থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।
সব ওষুধের যেমন কার্যকারিতার পাশাপাশি সাইডএফেক্ট আছে তেমনি চিনিরও কিছু অপকারিতা আছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক চিনির কিছু অপকারিতা-
সম্প্রতি জানা গেছে অতিরিক্ত চিনি খেলে, বাড়তে পারে রক্তচাপ। তাছাড়াও হতে পারে আরো নানান সমস্যা। যেমন- চিনি খাওয়ার সঙ্গে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়ার সম্পর্ক আছে৷
আবার শরীরে যে ধরনের প্রদাহ হলে হৃৎপিণ্ডের রক্তনালীর মধ্যে চর্বি জমে, হৃদরোগের সূত্রপাত হয়, তা ঘটাতেও অনুঘটকের কাজ করে চিনি৷ সবে মিলে দেখতে গেলে বেশি চিনি খেলে, সে আপনার ওজন যতই স্বাভাবিক থাকুক না কেন, হৃদরোগ হওয়ার আশঙ্কা খুব প্রবল, যদিও কী ভাবে ঠিক ঘটনাটা ঘটে সে ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা এখনও নিঃসন্দেহ নন৷
শুধু যে খাবারে চিনি মেশালে বিপদ হয় এমন নয়, প্রক্রিয়াজাত খাবারও সমান বিপজ্জনক৷ কারণ তাতে অ্যাডেড সুগার থাকে, তা সে ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল হোক কি পাউরুটি, প্যাকেটের ফলের রস হোক কি বিয়ার, সস, ক্যান্ডি,মেয়োনিজ,কেচাপ, কুকিস ও অন্যান্য স্যালাড ড্রেসিং, ঠান্ডা পানীয়৷
অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে হৃদরোগের পাশাপাশি, ডায়াবিটিস,ওবেসিটি, দাঁতের ক্ষয়, এমনকি কিছু কিছু ক্যান্সারের প্রকোপও বাড়ে৷