ত্রিদেব (ব্রহ্মা, বিষ্ণু মহেশ্বর) একসাথে কি রুপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন?
নিউজ ডেস্কঃ ব্রহ্মা, বিষ্ণু মহেশ্বরকে আমরা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা পালন কর্তা এবং সংহার কর্তা বলে জানি অর্থাৎ এই ত্রিদেব হল আদি শক্তি এবং শক্তির অধার। ত্রিদেবের অপার ক্ষমতা সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। কিন্তু আপনারা কি এটা জানেন যে ত্রিদেবে অপার ক্ষমতা একটি ঋষি পুত্রের মধ্যে ছিল। শুধু ক্ষমতা বলা ভুল ত্রিদেবই ছিল এই পুত্রে মধ্যে বিরাজমান।তাহলে আশা করি বুঝতেই পারছে যে সেই ঋষি পুত্রের কাছে পুরো ত্রিদেবের ক্ষমতা সে কতটা ক্ষমতাবান।কে এই ঋষি পুত্র এবং কি তাঁর নাম জেনে নিন।
একটি পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, হিন্দু শাস্ত্রে প্রসিদ্ধ মণিদের মধ্যে ঋষি অত্রি অন্যতম ছিলেন। যিনি ছিলেন ব্রহ্মাদেবের মানসপুত্র। কথিত আছে যে একবার ঋষি অত্রি এবং তাঁর স্ত্রী অনুসুয়ার পুত্রলাভের জন্য মহাদেবের তপস্যা করতে থাকে।তাদের তপস্যাই সন্তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাদেরকে বর প্রদান করতে চেয়েছিলেন তখন অত্রি মুনি মহাদেবকে পুত্ররূপে চেয়েছিলেন কিন্তু তাঁর স্ত্রী অনুসুয়ার বিষ্ণুদেবকে তাঁর পুত্ররূপে চেয়েছিলেন।তাদের এই মতবিরোধ জন্যে মহাদেব তাদেরকে বলেন যে তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলে ঠিক করুক যে তারা কাকে পুত্ররূপে লাভ করতে চায়।তারপর অত্রি এবং তাঁর স্ত্রী অনুসুয়া নিজেদের মধ্যে কথা বলে জানান যে তারা ত্রিদেব অর্থাৎ ব্রহ্মা বিষ্ণু এবং মহেশ্বর কে তাদের পুত্ররূপে লাভ করতে চান।তারপর মহাদেবে তাদেরকে এই বরপ্রদানই করলেন। পরবর্তী সময়ে অনুসুয়া এবং অত্রির ঘরে তার পুত্ররূপে জন্মগ্রহন করে এই ত্রিদেব যার নাম হয় দত্তাত্রেয়। দত্তাত্রেয় মধ্যে ছিল ত্রিদেবের শক্তি। ভারতের অনেক স্থানে এনাকে ত্রিনাথ ঠাকুর নামে পূজা করা হয়।