তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। নারকেল তেলের অসাধারন ৬ টি উপকারিতা
নিউজ ডেস্কঃ নারকেল। এমন এক ফল যা হিন্দু ধর্মের পূজায় বেশিরভাগ সময়ই ব্যবহার করা হয়। তবে এর যে গুন তা অনেকেরই জানা নেই। শরীরের একাধিক কাজে লাগে এই নারকেলের জল।
কম ক্যালোরিঃ প্রচলিত বেশিরভাগ জলেই প্রচুর ক্যালোরি ও চিনি থাকে।নারকেলের জলে তুলনামূলক কম ক্যালোরি থাকে। যেমনঃ ২৪০ মিলি ডাবের জলে থাকে মাত্র ৪৫ ক্যালোরি।
পটাশিয়ামঃ কলার থেকেও বেশি পরিমাণে থাকে। তাই এটি শুধু জল শূন্যতা পূরণেই নয়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক। উল্লেখ্য স্নায়ুতন্ত্র, মস্তিষ্ক এমন কি পেশির শক্তি ঠিক রাখার জন্য পটাশিয়ামের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।
খনিজ উপাদানঃ অন্যান্য খনিজের পাশাপাশি নারকেলের জলেতে থাকে ম্যাগনেসিয়াম এবং কপার যা আমাদের নিয়মিত খাবারের তালিকার খুবই কম পরিমানে থাকে। দুর্বলতা ও অবসাদের কারন হতে পারে ম্যাগনেশিয়ামের অভাব। দাঁত ও হাড় শক্ত রাখতেও ম্যাগনেশিয়াম জরুরি।কপারের অভাবে আমাদের দেহে বিভিন্ন অঙ্গ ও বিপাক ক্রিয়ার স্বাভাবিক কার্য প্রক্রিয়ার বাধাগ্রস্ত হয়।
তারুণ্য ধরে রাখতেঃ নারকেলের জলে সেইটোকাইনস যা তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এই উপাদান ক্যান্সার দমনেও সহায়তা করে।শরীরে পিএইচ-য়ের ভারসাম্য বজায় রেখে দেহের বিশেষ সংযোজক টিস্যুগুলোকে মজবুত করে। এমনকি বার্ধক্যজনিত রোগের ঝুঁকিয়ো কমায়।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টঃ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের বিষাক্ত মৌলগুলোকে শোষণ করে। নারিকেলের জলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা এইসব মৌলের ক্ষতিকর প্রভাব রোধ করে।
রোগ প্রতিরোধে সহায়কঃ নারিকেলে জলে প্রচুর পুষ্টি উপাদান ও ভিটামিন থাকে।যেমনঃ রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, থায়ামিন ও পাইরিডক্সিন, ফোলেটস ইত্যাদি।তাছাড়া ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধের গুনাগুণও রয়েছে এ জলে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।