অফবিট

ভারতবর্ষ সহ গোটা পৃথিবীতে ডিজিটাল মুদ্রায় বিনিয়োগ করছে! ক্রিপ্টোয় লুকিয়ে কিছু বিপদও!

নিউজ ডেস্কঃ ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সি  তথাকথিত ভাবে নতুন হলেও ২০২১-এর গ্লোবাল ক্রিপ্টো ইনডেক্সের রিপোর্ট অনুযায়ী এর মধ্যেই ক্রিপ্টোর ব্যবহারে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এই ডিজিটাল মুদ্রার জনপ্রিয়তা যেমন বাড়ছে তেমনি পাল্লা দিয়ে বাজারে আসছে নতুন নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সি । তবে, ভারত সহ গোটা বিশ্বে ক্রিপ্টোয় হঠাৎ বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়ার রয়েছে এক বেশ বড়সড়  কারণও। সাধারণ স্টকের তুলনায় বেশি ঝুঁকিশীল হলেও ক্রিপ্টোয় সুদের হার আকাশ ছোঁয়া। কিন্তু, শুধু সুদের লোভে আগুপিছু না দেখে সমস্ত সেভিংস ক্রিপ্টোতে লাগিয়ে দিলেও তৈরি হতে পারে বিভিন্ন সমস্যাও। সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ইতিমধ্যেই সই আশঙ্কা থেকে ক্রিপ্টোয় লুকিয়ে থাকা কিছু বিপদ বর্ণনা করে জারি করেছে সতর্কতা। 

সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড বা IMF সংশয় প্রকাশ করে জানিয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সির অতিরিক্ত ব্যবহারে অদূর ভবিষ্যতে লোকাল অর্থনীতি মার খেতে পারে, দেখা দিতে পারে অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতা; সেই সঙ্গে বাধা সৃষ্টি হতে পারে ফিসকাল পলিসির ক্ষেত্রেও। আরেকটি চিন্তা বাড়ানোর মতো বিষয় হলো – ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহারের ফলে জনসাধারণের ডিজিটাল অ্যাসেট অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেলে, তা কর ব্যবস্থার জন্য ডেকে আনতে পারে মারাত্মক বিপদ। তবে, এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, সাল্ভাডোই প্রথম এমন এক দেশ যারা সেপ্টেম্বরে বিটকয়েনকে আইনিভাবে অনুমোদন দিয়েছে।

বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বাজার ভরে গেলেও এর যাত্রা শুরু মূলত বিটকয়েনের হাত ধরেই। আজ থেকে মাত্র বছর কয়েক আগে প্রত্যাবর্তন করেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অল্প সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করে নিতে সক্ষম হয়েছে বিটকয়েন। ভারত, পাকিস্তান এবং ভিয়েতনামের মতো দেশেও জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিন্দুমাত্র পিছিয়ে নেই ক্রিপ্টো। কিন্তু ডিজিটাল কারেন্সির হঠাৎ এই রমরমার কারণ কি? প্রথম কারণ অবশ্যই অল্প সময় ধরে বিনিয়োগের মাধ্যমে বেশি লাভ করার আশা। এই কারনের জন্যই বড়ো বড়ো বিভিন্ন ইনভেস্টরদেরও এখন প্রথম পছন্দ হয়ে উঠেছে বিটকয়েন। দ্বিতীয়ত ক্রিপ্টো এক দেশে বসে থেকে অন্য দেশে লেনদেনের জটিল প্রক্রিয়াকেও সহজ করে তুলেছে। এতে খরচও কমে অনেকটা। ভারতে ক্রিপ্টোর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় ওপর মূল কারণ হলো বিদেশি মুদ্রা বদলানোর দুর্বল ব্যাঙ্কিং পরিকাঠামো। সামান্য ডলারকে ভারতীয় মুদ্রায় পরিবর্তিত করতেও দেখা যায় নানা সমস্যা। ক্রিপ্টো অপদিকে এই গোটা পদ্ধতিটাকেই একেবারে সহজ করে ফেলেছে। বর্তমানে ডিজিটাল টোকেন এবং স্টেবেলকয়েনের মাধ্যমেও এই ক্রিপ্টোকারেন্সির সেভিং করা সম্ভব।

এতক্ষণ ক্রিপ্টো এবং তার সুবিধা অবসুবিধা নিয়ে নানা কথা চললো। এবার প্রশ্ন জাগতে পারে এক্ষেত্রে সরকারের করণীয় ঠিক কি?ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার কমাতে চাইলে ভারতের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ককে নিজস্ব ডিজিটাল কারেন্সির প্রচলন করতেই হবে, এছাড়া নেই কোনো উপায়। সেই সঙ্গে প্রয়োজন ম্যাক্রো ইকোনোমিক পলিসির উন্নতিসাধন করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *