অফবিট

কিভাবে সুপার হিউম্যান তৈরি করছে বৈজ্ঞানিকরা?

নিউজ ডেস্ক – পৃথিবীতে প্রাণের সৃষ্টি করে থাকেন মূলত ত্রিদেব। এমনটাই ছোট থেকে জেনে বড় হচ্ছেন সকলে। তবে এবার যুগের পরিবর্তনে বৈজ্ঞানিক ভাষায় দুটি ক্রোমোজোমের মিলনে সৃষ্টি হয় একটি ছোট্ট প্রাণ। পরবর্তীতে সেই পদ্ধতি আরো উন্নত হয়ে আইভিএফ প্রক্রিয়াতেও প্রাণের সৃষ্টি করেছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এবার সকলকে তাজ্জব করে দিয়ে এক সুপার হিউম্যান সৃষ্টি করতে চলেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। এমন ইলেকট্রনিক মহামানবের কথা শুনে অবাক হতে বাদ যায়নি কোনো মানুষই।

বৈজ্ঞানিক স্তরে আজ পর্যন্ত অভিনব আবিষ্কার সুপার হিউম্যান সম্পর্কে মিশিগান থেকে ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিএনএ বিশেষজ্ঞ ভারতীয় অধ্যাপক কুমার রঙ্গনাথন জানিয়েছেন, এতদিন জানা ছিল, ডিএনএ-র শরীর গড়ে তোলে প্রাণ সৃষ্টির বর্ণমালার চারটি অক্ষর। এ, সি, জি, টি। প্রাণের টানে বর্ণমালার সেই চারটি অক্ষরই পাঁচ গুণ বেড়ে গিয়ে হয়ে যায় ২০। নিজেদের মধ্যে নানা রকমের কায়দা-কসরতের মাধ্যমে গড়ে তোলে ২০ রকমের অ্যামাইনো অ্যাসিড। রঙ্গনাথন বলেন, আমাদের গবেষণা জানাল, ধারণাটা এবার বদলাতে হবে। ডিএনএ অণুর মতোই আরও একটি অণুর অস্তিত্ব সম্ভব। তেমন অণুও বানানো যায়, যেখানে চারটি নয়, আটটি জিনিস দিয়ে গড়ে উঠছে ডিএনএ-র শরীর। তাদের সংক্ষিপ্ত নামগুলো হলো, পি, বি, এস এবং জেড। এর নাম আমরা দিয়েছি, ‘হাচিমোজি’। ‘হাচি’ মানে, আট। আর ‘মোজি’ মানে, অক্ষর। তার মতে, আগের সেই ধারণার বাইরে ৪টি অক্ষরের বদলে ৮টি অক্ষরের সমন্বয়ে তৈরি হবে ডিএনএ। এমনটি হলে ২০ রকমের অ্যামাইনো অ্যাসিডের বদলে আরও অনেক বেশি অ্যামাইনো অ্যাসিড তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে যা দিয়ে তৈরি হবে নতুন নতুন রকমের প্রাণ। তবে মনে করা হচ্ছে শুধু নাসার নয় এরকম বৈদেশিক অনেক ভিন রাজ্য উন্নত হয়ে উঠেছে। সেক্ষেত্রে নাসার আবিষ্কার হওয়ার আগেও হয়তো সেই রাজ্যের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার করতে সফলতা অর্জন করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *