ঝকঝকে সাদা দাঁত পেতে সাহায্য করে। কলার খোসার অসাধারন ১০ টি কার্যকারিতা
কলা খেতে কে না ভালোবাসে ?অন্য অনেক বিদেশি ফলের থেকে দাম অনেকটা সস্তা হলেও এর পুষ্টিগুণ কিন্তু অন্য অনেক দামি ফলের থেকে অনেক বেশি ।উচ্চ পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত এই ফল শরীরে যেমন এনার্জির জোগান দেয় তেমনি এটি হৃৎপিণ্ডের জন্য ও অত্যন্ত ভালো । কলার পুষ্টিগুণের কথা তো কমবেশি আমরা সকলেই জানি ।কিন্তু কলার খোসার ও রয়েছে বেশকিছু উপকারিতা। অথচ কলার এই অংশটি ব্যবহার করা হয় না বললেই চলে ।
আসুন জেনে নেওয়া যাক কলার খোসার উপকারিতা গুলি।
ঝকঝকে সাদা দাঁত পেতে
ঝকঝকে সাদা দাঁত মুখের সৌন্দর্য অনেকটা বাড়িয়ে দিতে পারে এক নিমেষে ।আর এই সাদা দাঁত পেতে আমরা অনেকেই রাসায়নিক যুক্ত বিভিন্ন টুথপেস্ট ব্যবহার করে থাকি।তবে, আপনি যদি প্রাকৃতিক উপায়ে সাদা দাঁত পেতে চান তবে নিয়মিত কলার খোসার ভেতরের দিকটা দিয়ে দাঁত মাজা শুরু করুন। টানা এক সপ্তাহ এটি ব্যবহার করলে দাঁতের রঙ যেমন সাদা হবে ঠিক তেমনি দাঁতের ব্যথায় ভুক্তভোগী হয়ে থাকলে কলার খোসা আপনার দাঁতের ব্যথা কমাতে ও সাহায্য করবে ।
ব্রণ দূর করতে
কলা খাওয়ার পর কলার খোসা আমরা সাধারণত ফেলেই দিই।তবে, জানেন কি কলার খোসা ত্বকের ব্রণ দূর করতেও খুব ভালো কাজ দেয় ।অনেক সময় ব্রণ ঠিক হয়ে যাওয়ার পরও আবার ফিরে আসে ।এক্ষেত্রে পুরোপুরিভাবে ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে রাতে শোওয়ার আগে কলার খোসার ভেতরের দিকটা মুখে ভালো করে ঘষে সারারাত রেখে দিতে হবে ।সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ভাল করে মুখ ধুয়ে ফেললেই ব্রণের সমস্যা অনেকটা কমে আসবে ।
কলার খোসার ব্যবহার অবসাদ কাটাতে
এই কর্মব্যস্ত জীবন আর সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে আমাদের মধ্যে অনেকেই অবসাদে ভোগে ।একাকীত্ব গ্রাস করে ফেলে অনেককে ।এক্ষেত্রে অবসাদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে খেতে পারেন কলার খোসা রান্না করে ।কলার খোসায় থাকে সেরোটোনিন নামক এক রাসায়নিক নাম মনের অবসাদ দূর করতে অনেকটা সাহায্য করে ।
মুখের দাগ দূর করতে
ত্বকের যত্নের অভাবে ও ক্ষতিকারক সূর্য রশ্মির প্রভাবে মুখে নানা কালো দাগ দেখা যায় । কলার খোসা ব্যবহার করে সহজেই মুখের দাগ দূর করা যায়। মধুর সঙ্গে কলার খোসা মিশিয়ে মুখে ভালো করে ঘষলে এই দাগ দূর হয়।
চোখের সুরক্ষায়
চোখের বিভিন্ন সমস্যায় কলার খোসা অত্যন্ত ভালো কাজ দেয় ।অনেক সময় ঘুমের অভাবে বা অতিরিক্ত চাপে চোখের চারপাশে কালো দাগ দেখা যায় ।এর থেকে মুক্তি পেতে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন ।শুধু তাই নয় চোখে চুলকানি এমনকি ছানির মত সমস্যা ও আটকাতে পারে কলার খোসা ।কলার খোসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে চোখেকে বাঁচায় ।আর এর জন্য বেশী কিছু করতে হবে না প্রত্যেক দিন সময় করে কলার খোসা বেটে তা চোখে কিছুক্ষণের জন্য লাগিয়ে রাখতে হবে ।
ত্বকের বলিরেখা দূর করতে
বয়সের সাথে সাথে ত্বকে নানা বলিরেখা ও দাগ দেখা যায় ।মুখের জৌলুস অনেকাংশে কমিয়ে দেয় এই বলিরেখা।পুনরায় কোমল ও সুন্দর ত্বক পাওয়ার জন্য নিয়মিত ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা ।এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বলিরেখা দূর করে ।
দাদ চুলকানির মত সমস্যা দূর করতে
কলার খোসা যে কেবল ত্বকের রূপচর্চা তেই কাজে লাগে তাই নয়। দাদ চুলকানির মত সমস্যা দূর করতেও ওষুধের মত কাজ দেয় এটি ।যে অংশে দাদ বা চুলকানি দেখা দিচ্ছে সেখানে কলার খোসা কিছুক্ষণ ধরে ভালো করে ঘষে দিলে চুলকানি যেমন বন্ধ হয় ঠিক তেমনি দ্রুত সেরেও যায় এটি।
মসৃণ ত্বক পেতে
শুষ্ক ত্বকে দাগ যেমন বেশি দেখা দেয় ঠিক তেমনি ত্বক হয়ে ওঠে বেশি খসখসে ও অমসৃণ ।এক্ষেত্রে মসৃণ ত্বক পাওয়ার জন্য ব্যবহার করুন কলার খোসা ।নিয়মিত কলার খোসার ভেতরের অংশ মুখে ভালো করে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখলে দেখবেন ক্রমে ত্বক হয়ে উঠেছে ও মসৃণ ও আদ্র ।
পোকা-মাকড় কামড়ালে
পোকামাকড় কামড়ালে অনেক সময় আমরা হাতের সামনে ওষুধ খুঁজে পাই না। আর এই কামড় থেকে অনেক সময় দেখা যায় নানা সংক্রমণ ও ব্যথা ।এক্ষেত্রে চটজলদি ব্যথা বা চুলকানি থেকে আরাম পেতে ব্যবহার করুন কলার খোসা ।যে জায়গায় পোকা কামড়েছে সেখানে বেশ কিছুক্ষণ ধরে কলার খোসা ঘষলে দেখবেন ব্যথা ও চুলকানি সাথে সাথে কমে গেছে অনেকটা ।