পৃথিবীর কোথায় মাছ মানুষের মুখ চিনতে পারে?
নিউজ ডেস্কঃ মাছের প্রজাতির মধ্যে আছে বিভিন্ন প্রকারভেদ। শান্ত নিরীহ মাছের প্রজাতি যেমন আছে ঠিক তেমনি আছে হিংস্র মাছ ও। মানুষখেকো মাছের কথা প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু মানুষের মুখ চিনতে পারে এমন মাছের কথা কি শুনেছেন? শুনে অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন একটা মাছ কি করে মানুষের মুখ চিনতে পারে! শুনে অবাক হলেও এটা কিন্তু সত্যি।এই বিশেষ ধরনের মাছটির নাম আর্চার ফিশ। প্রাণিবিজ্ঞানীরা এই প্রজাতির মাছের মধ্যে মানুষের মুখ চেনার এক বিশেষ ক্ষমতা।
আবিষ্কার করেছেন।মানুষের মুখ দেখে এরা মনে করতে পারে যে আগে তাকে দেখে ছিল কিনা।
কি করে একটি মাছের এরকম ক্ষমতা থাকতে পারে তা নিয়ে চলেছে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা।তবে সেই রহস্য এখনো নানা পরীক্ষার দ্বারা ভেদ করা সম্ভব হয়নি।এক্ষেত্রে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো যে কোন প্রাণীর মুখ মনে রাখতে সহায়তা করে মস্তিষ্কের নিওকর্টেক্স নামক অংশটি যা মানুষ কুকুর বা অন্য কোনো উন্নত প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে দেখা যায়।কিন্তু আর্চার মাছের ছোট্ট মস্তিস্কে কোন নিওকর্টেক্স নেই যা বিজ্ঞানীদের হতবুদ্ধি করছে।এক বিশেষ গবেষণায় দেখা গেছে যে এই মাছ প্রায় 44 জন মানুষের মুখ মনে রাখতে পারে।একটি স্বচ্ছ কাঁচের ট্যাংকে এই মাছ রেখে তাকে দুটি মানুষের মধ্যে একজনের মুখ মনে রাখার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে ওই দুজনের ছবির স্থান পরিবর্তন করে বা কম্পিউটারের সাহায্যে বিশেষ এডিটের মাধ্যমে মুখের সামান্য পরিবর্তন ঘটানোর পর ও দেখা যায় যে আশ্চর্যজনকভাবে ওই মাছ নির্দিষ্ট ব্যক্তির মুখ শনাক্ত করতে সক্ষম হচ্ছে।
তবে এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য যে সব আর্চার মাছের মধ্যেই কিন্তু এই বিশেষ ক্ষমতা নেই। শুধুমাত্র আর্চার ফিশ এর মধ্যে টক্সোট ক্যাটেরিয়াস নামের একটি প্রজাতিই পারে মানুষের চেহারা মনে রাখতে। এই মাছের প্রধান খাদ্য জলে বসবাসকারী বিভিন্ন ছোট পোকামাকড়। আর এদের শিকারের ধরনটিও বেশ অদ্ভুত। এরা জলের মধ্যে মুখ থেকে লালা নিঃসরণ করে তার মধ্যে তাদের শিকার কে জড়িয়ে ফেলে এবং শিকার কে পরাস্ত করে।
অদ্ভুত ক্ষমতা সম্পন্ন এই মাছের বিষয়ে রয়ে গেছে এখনো বিভিন্ন রহস্য। ক্রমাগত চলছে এই মাছকে নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা। আশা করা হয় ওদের ভবিষ্যতে আমরা জানতে পারবো যে কি করে এই ছোট্ট প্রাণীটি মানুষের মুখ চিনে রাখতে সক্ষম হয়।