অফবিট

জলের তলায় সুরক্ষিত পৃথিবীর যে প্রাচীন শহরটি

রূপকথার শহর আটলান্টিসের কথা সারা জীবনে একবারও শোনেননি এমন লোক পাওয়া প্রায় অসম্ভব ।গ্রিক দার্শনিক প্লেটোর লেখা থেকেই আটলান্টিস এর কথা প্রথম জানা যায় ।তবে কেবলই গল্পকথা নাকি সত্যিই প্রাচীনকালে আটলান্টিস নামক কোন শহর ছিল তা নিয়ে মানুষের কৌতূহল চিরকালের ।অনেকেই একে গল্প কথা বলে উড়িয়ে দিলেও এরকম বহু মানুষ আছেন যারা মনে করেন এই শহর সত্যিই ছিল পৃথিবীতে।

অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে পৃথিবীর বুক থেকে এখন ও অব্দি যত শহর হারিয়ে গেছে তার মধ্যে আটলান্টিস অন্যতম ।আটলান্টিস সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য না থাকলেও গ্রিক দার্শনিক প্লেটোর বর্ণনা অনুযায়ী জানা যায় বর্তমান জিব্রাল্টার প্রণালীর কাছেই এক দ্বীপে এই অত্যাধুনিক শহরটি অবস্থিত ছিল ।এখানে উন্নত সমাজ ব্যবস্থা ও আধুনিক জীবন ধারা সবই উপলব্ধ ছিল শহরবাসীর কাছে ।এখানকার সমাজ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে শহরের প্রত্যেকটি বর্ণনা প্লেটো এতই নিখুঁতভাবে উপস্থাপন করেছেন যে এরকম শহরের উপস্থিতি ছিল না সেটা ভাবাও বেশ দুষ্কর হয়ে ওঠে  ।তার রচনা থেকে জানা যায় এটি ছিল একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী শহর যা শিল্প-বাণিজ্য জ্ঞান-বিজ্ঞান সবকিছুতেই অতুলনীয় ছিল ।তার বর্ণনা অনুযায়ী শহরের প্রধান আকর্ষণ ছিল কেন্দ্রে অবস্থিত রাজপ্রাসাদ। আর এই রাজপ্রাসাদটি নাকি একটি টিলার ওপর অবস্থিত ছিল। এছাড়া সাজানো-গোছানো জলপথ স্থলপথ দ্বারা শহরটি বেষ্টিত ছিল বলেও জানা যায় ।

তবে কিভাবে ধ্বংস হলো এমনই একটি উন্নত শহর ?প্লেটোর মতে আজ থেকে প্রায় 12 হাজার বছর আগে এক ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগে সমুদ্রের অতল গভীর জলে চাপা পড়ে যায় এই সোনার শহর ।অনেকেই মনে করেন আটলান্টিসের অধিবাসীদের বেশ কিছু অলৌকিক ক্ষমতা ও ছিল ।গ্রিক পুরাণে বারবার আটলান্টিস ও আটলান্টিসের বাসিন্দাদের কথা উঠে এসেছে ঠিকই তবে বিজ্ঞানীদের মত বেশ আলাদা ।তারা মনে করেন আটলান্টিস নামে কোন শহর যদি সত্যিই থাকতো তাহলে তা এশিয়া মহাদেশের প্রায় সমান বড় হতো আর এত বড় একটি শহর সমুদ্রের তলায় চাপা পড়ে গেছে এটা বেশ অবিশ্বাস্য ব্যাপার।শুধু এখানেই শেষ না।তাদের মতে আটলান্টিস বলে কোন শহর যদি সত্যিই থাকতো তবে শহরের মানুষ হতো বর্বর প্রজাতির ।

আটলান্টিস সম্পর্কিত সব কাহিনী মিথ্যা নাকি তা সত্যিই অবস্থিত ছিল তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছে এবং তা ভবিষ্যতেও চলবে ।তবে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণার পরে আটলান্টিসের পক্ষে বেশ কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে ।মনে করা হয় ভবিষ্যতে একদিন ঠিকই আটলান্টিসের এই রহস্য সমাধান করা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *