রাস্তার ধুলো থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। হাঁপানি থেকে বাঁচতে যে নিয়ম গুলি মেনে চলবেন
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ গ্রামের দিকে এখনও বেশ ভালো কিছু গায়ে দিয়েই ঘুমাতে হচ্ছে। গ্রামের দিকে কিন্তু এতো গরম নেই। আর যদিও বা দিনে তাপমাত্রা বেশি থাকে। রাতের দিকে তাপমাত্রা বেশ কম। এবং এর কারন কি বলুন তো? দূষণ। শহরাঞ্চলে সেভাবে গাছপালা না থাকায় এবং দূষণের পরিমান বেশি থাকাতেই এতো গরম। এবং এই দূষণের কারনেই একাধিক রোগের বাসা বাঁধছে মানুষের শরীরে। বিশেষ করে যাদের এজমা বা হাঁপানি জনিত রোগ আছে।
বর্তমানে কলকাতা শহরের যা দূষণের মাত্রা তাতে আপনি যদি কলকাতা শহরে যান এবং আপনি যদি সিগারেট না খান সেক্ষেত্রেও আপনার শরীরে চার থেকে ছটি সিগারেট পান করার ন্যায় দূষণ ঢুকবে। এবং এর ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারন মানুষ। বিশেষ করে যাদের বয়েস ১৫ বছরের কম এবং ৪৫ বছরের বেশি তারা এজমা জনিত রোগের শিকার হচ্ছেন।
তবে এজমার শিকার হলে অনেকসময় মানুষ বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং সাধারন জীবনযাপনে প্রভাব পড়তে শুরু করে। তবে বেশি চিন্তিত হওয়ার কোনও কারণ নেই সাধারন কিছু নিয়ম মেনে চললেই এর থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন ফর্টিস হসপিটালের ডাক্তার অংশুমান মুখার্জি।
সঠিকভাবে ওষুধ খেলে বা নিয়মমাফিক কিছু ওষুধ সময় মতো খেলেই ইহা নিজের আয়ত্তের মধ্যেই থাকে।
ইনহেলার সর্বদা নিজের কাছে রাখবেন। ইনহেলার নিতে কখনই ভুলবেননা। কারন অনেক সময় বিশেষ করে জরুরী কালিন অবস্থায় ইহা বিশেষ কাজে দেয়।
রাস্তার ধুলো থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। কারন এই ধুলো থেকেই বেশিরভাগ সময় মানুষ অসুস্থ হয়ে পরে। এবং এই ধুলো থেকে বাঁচতে মাস্ক ব্যবহার করুন।
বাড়ি পরিস্কারের জন্য বা ঘর মোছার জন্য ঝাঁটার পরিবর্তে ভ্যাকুম ক্লিনার ব্যবহার করুন।
তুলার বদলে সিনথেটিক বালিশ ব্যবহার করুন।
আরশোলার থেকে দূরে থাকুন। কারন আরশোলা হাঁপানির বাহক হয়।
বেডকভার গরম জলে ধোয়ার চেষ্টা করুন।
এসি ঘরে থাকলে এসির তাপমাত্রা ২৪ থেকে ২৮ ডিগ্রীর মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন।
যারা ধূমপান করে তাদের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। ৯০-৯৫ শতাংশ মানুষের হাঁপানির প্রধান কারন ধূমপান।