এতো শক্তিশালী হলেও কেন চোখে জল এসেছিল দেবাদিদেব মহাদেবের?
নিউজ ডেস্কঃ দেবাদিদেব মহাদেব হলেন এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সংহার কর্তা।যিনি দুষ্টদের নাশ করে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে রক্ষা করে।যার অপার শক্তির কথা তো আমরা সবাই জানি কিন্তু আপনারা কি জানেন মহাদেবের চক্ষু থেকে নেমে আসে অশ্রুর ধারা।যিনি হলেন শক্তির আধার তার চোখের কেন জল এসেছিল? এবং তার এই জল থেকে পৃথিবীতে কীসের আবির্ভাব হয়েছিল সেটা জেনে নিন।
পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী বলা হয় যে একবার পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীদের মঙ্গলকামনায় ধ্যানমগ্ন ছিলেন মহাদেব। মহাদেবের এই ধ্যানভঙ্গ হওয়ার পরে মাটিতে ঝরে পড়ে তার চোখের জল।এই চোখের জল মাটিতে পড়ার পর সেখান থেকেই জন্ম হয় রুদ্রাক্ষ গাছের।রুদ্রাক্ষের অর্থ হল রুদ্র মানে শিব এবং অক্ষ মনে চোখ বা চক্ষুজল।তাই বলা হয় যে মহাদেবের চোখ থেকে ঝরে পড়া অশ্রুবিন্দুই হল রুদ্রাক্ষ।
আরেকটি পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী বলা হয় যে মহাদেব ত্রিপুরাসুর নামক এক অসুরের পুরী ধ্বংস করার সময় অসীম শক্তিশালী অঘোরাস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন । অসীম শক্তিশালী এই অস্ত্রটি ব্যবহারের ফলে প্রাণীজগতে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় নেমে আসে । মহাদেব যখন তা প্রত্যক্ষ করেন তখন তিনি অত্যন্ত ব্যথিত হন। আর সেই সময়েই করুণায় মহাদেবের চোখ থেকে নেমে আসে অশ্রুধারা। এই অশ্রু যেখানে যেখানে পরেছিল সেখান থেকে জন্ম হয়েছিল রুদ্রাক্ষ বৃক্ষের।
মহাদেবের হাতে এবং গলায় রদ্রাক্ষের মালা দেখে থাকি।যা আসলে একটি অর্থ বহন করে।এই রুদ্রাক্ষ হল স্বচ্ছতার প্রতীক হিসাবে ধরা হয়।অনেক সময় মহাদেবের হাতে রুদ্রাক্ষ থাকে যাকে ধ্যান মুদ্রার প্রতীক হিসাবে ধরা হয়।