ভারতবর্ষের কোথায় গেলে স্বর্গে পৌঁছাবার সিঁড়ি পাওয়া যাবে?
নিউজ ডেস্কঃ হিমাচল প্রদেশের বাথু কি লড়ি এমন একটি মন্দির যার অলৌকিক ক্ষমতার কথা জানলেই বিস্মিত করে তুলবেন আপনাদেরকে।এছাড়াও বলা হয় নাকি এখান থেকেই নাকি স্বর্গের সিঁড়ি তৈরি করার চেষ্টা করে ছিলেন পঞ্চ পাণ্ডবরা। তাই এই রহস্যময় মন্দির হিমাচল প্রদেশে বাথু কি লড়ি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
এই মন্দিরটি হিমালচলের কাংড়া জেলার অবস্থিত যা বছরে আট মাসই পোংধাম হৃদের জলের নীচে ডুবে থাকে।তাই এই মন্দিরটিকে দর্শন করতে হলে দর্শনার্থীদের মার্চ থেকে জুন মাসের মধ্যে দর্শন করে হয়।কারন ওই সময় মন্দিরটি জলের উপরে থাকে বাকি সময় অর্থাৎ জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারির মাস পর্যন্ত জলের নীচে থাকে।তবে বছরের বছরে বেশিরভাগ সময় জলের নীচে থাকলেও মন্দিরের গায়ে কোনও বড় ক্ষতি দেখতে পাবেন না। কারণ মন্দির তৈরি হয়েছে বাথু নামে অত্যন্ত শক্ত পাথর দিয়ে। এই মন্দিরটি আসলে ছটি ছোট ছোট মন্দিরের সংমিশ্রণ।এই মন্দিরটি আদতে বিষ্ণু মন্দির হলেও মন্দিরের পাথরের গায়ে খোদাই করা রয়েছে কালী ও গণেশের মূর্তি এবং মন্দিরের ভেতরে দেখা যায় শেষনাগের সঙ্গে শ্রীবিষ্ণুর মূর্তি।
বলা হয় যে এই মন্দিরটির সাথে মহাভারতের যোগাযোগ আছে। অনেকে মনে করেন যে মহাভারতের পাণ্ডবরা স্বর্গে পৌঁছনোর সিঁড়ি তৈরির চেষ্টা করেছিলেন এই মন্দির থেকেই।