সাপে নেউলের যুদ্ধে নেউল বেশীরভাগ সময় কেন জিতে গেছিল?
নিউজ ডেস্ক – পৃথিবী সৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই সাপে-নেউলের সংঘাত লেগেই রয়েছে। যার কারণে কোন দুটি ব্যক্তির মধ্যে কোনরকম গন্ডগোল হলেই অন্যরা বলে সাপে-নেউলের ঝগরা। তবে গবেষণার মাধ্যমে দেখা গেছে অধিকাংশ সময় এই লড়াইয়ে জয়লাভ করে নেউল। খুব কমই এমন ঘটনা ঘটেছে যে সাপের কাছে পরাস্ত হতে হয়েছে তাকে। এর পেছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কিছু কারণ।
লড়াই হওয়ার পেছনে মূল উদ্দেশ্য থাকে নেউলের। সাপ খুব নিরীহ প্রকৃতির হয়। নিজের শিকারের বস্তু ছাড়া কেউ বিরক্ত করলে তখনই আক্রমণ করে সাপ। তবে নেউল ঠিক তার উল্টো। সাপকে সর্বদাই নেউল তার শিকার হিসেবে দেখে আসে এবং সর্বপ্রথম আক্রমণ করে। সে ক্ষেত্রে নিজের আত্মরক্ষার জন্য নেউলকে পাল্টা আক্রমণ করতে হয় সাপকে। তবে অন্যান্য সাপের সঙ্গে প্রথমে সংঘাতে জড়ালেও অজগরের বেলায় বেজি প্রথমে আক্রমণ করার সাহস পায় না। কিন্তু এই যুদ্ধের মধ্যে জয়লাভ হয় কার!
বৈজ্ঞানিকদের মতে শরীরে এক বিশেষ ধরনের অ্যান্টিবডি অর্থাৎ নিকোটিনিক অ্যাসিটাইলকোলিন রিসেপ্টর থাকে। যেটি শরীরের সাপের বিষ কে সক্রিয় হতে বাধা দেয়। এই বিশেষ ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক বেজি সহ মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীদের দেহে অর্গানিক ক্যামিকেল দেখিনা মস্তিষ্ক এবং শরীরে নিউরোট্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করে। এই নিউরোট্রান্সমিটার হলো প্রাণীদেহের একটি নিউরো সিল যদি কেমিক্যাল সিগন্যাল বা মেসেজ পাঠায় শরীরের আরো বাকি সেলগুলিকে। যেগুলি হল নিউরন, মডেল এবং গ্ল্যান্ড সেল।
তবে ব্যতিক্রম কিছু ঘটনা ঘটে। সাপ ও বেজির লড়াইয়ে অনেক সময় বেজির মৃত্যু হয়। সেক্ষেত্রেও একটি কারণ রয়েছে। যদি বেজি শরীরে অ্যান্টিবডি ঠিকমতো কাজ না করে কিংবা বেজি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকে সেক্ষেত্রে শরীরে বিষের প্রভাব পরে কয়েক দিনের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। তবে এক্ষেত্রে বেজি কে মারতে গেলে সাপকে খুব ভালো করে কামড়ে তার শরীরে বিষ ঢুকাতে হবে কিন্তু এক্ষেত্রে বরাবরই বিফলে যায় সাপ। কারণ অত্যধিক শক্ত ও মোটা চামড়া হয় বেজির। তাই দুজনের মধ্যে ধুন্ধুমার লড়াইতে ঠিকভাবে বেজির শরীরে জোর করে কামড় বসাতে পারেনা সাপ। যদিও এই তর্কবিতর্কের বিষয়ে বহু বিজ্ঞানীরা বহু মত প্রকাশ করেছেন। সেই কারণে এখনো পর্যন্ত এই বিষয়টিকে নিয়ে গবেষণা চলছে।