হেয়ার রিমুভাল এর জ্বালা কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত গোলাপজলের ব্যবহারের সুবিধা
প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল গোলাপজল। যে কোন প্রকার ত্বকেই গোলাপজল অনায়াসে ব্যবহার করা যায়। এটি যে কেবল ফেসপ্যাক টোনার ইত্যাদি বিভিন্ন বিউটি প্রোডাক্টের কার্যকারিতার পরিমাণই দ্বিগুণ করে দেয় তাই নয়, সেই সঙ্গে গোলাপ জলের ব্যবহার ত্বকের নানা সমস্যার সমাধান ও করতে পারে। নিয়মিত গোলাপ জলের ব্যবহার ত্বককে দেয় এক অপূর্ব গ্লো। আসুন জেনে নিই নিয়মিত গোলাপজলের ব্যবহার কিভাবে পরিবর্তন আনতে পারে ত্বকে।
ত্বকের রুক্ষতা ও শুষ্কতা দূর করতে
ড্রাই স্কিন থাকলে ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়। ত্বকের কোমল ভাবটাই নষ্ট হয়ে যায় এর ফলে। এ ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকাল ও রাতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার আগে টোনার হিসাবে ত্বকে ভালো করে ব্যবহার করুন রোজ ওয়াটার। নিয়মিত রোজ ওয়াটার ব্যবহারে ত্বকের ময়েশ্চার ফিরে আসবে আবার।
মাস্ক লাগানোর আগে
কর্মব্যস্ত জীবনে নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময় আমাদের অনেকেরই হয় না ।সে ক্ষেত্রে শিট মাস্ক ব্যবহার করি আমরা অনেকেই চটজলদি ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য ।কিন্তু জানেন কি ?এই শিট মাস্ক এর প্রভাব দ্বিগুন করে দিতে পারে সামান্য একটু গোলাপজল। ত্বকে মাস্ক লাগানোর আগে ভালো করে ত্বক পরিষ্কার করে তুলো দিয়ে গোলাপ জল গোটা মুখে লাগিয়ে নিন প্রথমে। আর সামান্য এই অভ্যাসটি আমূল পরিবর্তন আনতে পারে আপনার ত্বকে।
হেয়ার রিমুভাল এর জ্বালা কমাতে
হেয়ার রিমুভ করার জন্য ওয়াক্স বা রেজার ব্যবহার করলে অনেকের ত্বকেই জ্বালা দেখা দেয় ।রেজার বাম্প বা দাগ ও অনেক সময় দেখা দেয় ত্বকে। এই ক্ষেত্রে হেয়ার রিমুভ করার পরে ত্বকে গোলাপজল ভালো করে লাগিয়ে ফেলুন ।দেখবেন যে কোনো রকমের জ্বালা নিমেষে উধাও হয়ে যাবে ।
স্নানের জলে মেশান
সারাদিনের ক্লান্তি ও স্ট্রেস মেটাতেও অনাবদ্য কাজ করে রোজ ওয়াটার ।সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে স্নানের জলে মিশিয়ে নিন অল্প একটু রোজ ওয়াটার ।এতে জল যেমন হয়ে উঠবে সুরভিত তেমনি স্নানের পরে আপনার সারাদিনের স্ট্রেস ও যাবে দূর হয় ।
মেকআপের আগে
গরমকালে অনেক সময়ে মেকআপ স্থায়ী হয় না বেশিক্ষণ ।এক্ষেত্রে মুখে মেকআপ এপ্লাই করার আগে গোলাপজল স্প্রে করে নিন ।দেখবেন মেকআপ যেমন অনেকক্ষণ থাকবে ঠিক তেমনি আপনাকেও দেখাবে ফ্রেশ ।
পিএইচ লেবেলে ভারসাম্য বজায় রাখতে
সূর্যের ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি ,দূষণ প্রভৃতি আমাদের ত্বকের পিএইচ লেভেল কে ক্ষতিগ্রস্থ করে ।ফলে ত্বক দেখায় নিষ্প্রাণ ।নিয়মিত গোলাপজল টোনার হিসেবে ব্যবহার করলে ত্বকের পিএইচ লেভেল এর ভারসাম্য বজায় থাকে এবং ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল ।
দূষণ থেকে ত্বককে রক্ষা করতে
গোলাপ জল অনেকটা এস্ট্রিঞ্জেন্ট-এর মতো কাজ করে, ফলে ত্বকে গোলাপ জল ব্যবহার করলে তা বাইরের ধুলো-ময়লা থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে ।
ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধ করে
বয়সের সাথে ত্বকে দেখা দেয় বলিরেখা । এক্ষেত্রে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে ব্যবহার করতে পারেন রোজ ওয়াটার ।গোলাপজলে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বকে অ্যান্টি-এজিং হিসাবে কাজ দেয় ।এটি ত্বকের কোষগুলিকে ভেতর থেকে করে তোলে দৃঢ় ও সতেজ যার ফলে ত্বক হয়ে ওঠে টানটান ।
ত্বককে হাইড্রেট করতে
গোলাপজল যে কোন ত্বকের জন্য উপকারী ঠিকই তবে বিশেষত ড্রাই স্কিনে এটি অনবদ্য ভালো কাজ দেয় । নিয়মিত গোলাপজল ব্যবহার করলে তা ত্বককে করে তোলে আদ্র ।শুধু তাই নয় নিয়মিত গোলাপ জলের ব্যবহার ত্বককে করে তোলে মসৃণ ও ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও প্রদান করে এটি।