গোটা পরিবারের গায়ের রং সবুজ হয়ে গেছিল এই পরিবারের। কারন জানলে অবাক হবেন
নিউজ ডেস্ক – গল্পের বই হোক কিংবা বাচ্চাদের কার্টুন সেইখানে এলিয়েন প্রায়শই দেখা যায়। সেই সকল টিভি বা বইয়ের পাতায় এলিয়েনদের চিত্র মানুষ দেখেছে সেই গুলির গায়ের রং সবুজ এবং মাথায় দুটি এন্টিনা মতন রয়েছে কিছু জিনিস। তবে বাস্তবে পৃথিবীতে পদার্পণ করেছিল এলিয়েন। তবে এলিয়েন বললে ভুল হবে কারণ তারা দেখতে সম্পূর্ণ মানুষের মতো শুধু ব্যতিক্রম ছিল গায়ের রংয়ে। কারণ তাদের গায়ের রঙ ছিল সবুজ। এই সকল এলিয়েনদের দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিল বহু মানুষ। একটু বিস্তারিতভাবে বলা সেই সময়কার রহস্যজনক গল্প।
দ্বাদশ শতকের দিকে ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে উলপিট নামের এক গ্রামে হাজির হয় দুই সবুজ রঙা শিশু। এরা ছিল ভাই বোন। ভীষণ ক্ষুধার্ত ও ভয়ে ভীত ছিল ভাই-বোনেরা। তাদের ভয় পাওয়ার পরিবর্তে উল্টে সাধারণ মানুষ ভয় পেতো তাদের দেখে। কারণ ছিল তাদের গায়ের রং। পাশাপাশি তারা যে সকল ভাষায় কথা বলছিল সেটা সাধারণ মানুষের বোধগম্য ছিল না। আই উপায় না পেয়ে সকল গ্রামবাসীরা স্থির করে দুই ভাই-বোনকে নিয়ে যায় উইলকিস এলাকার স্যার রিচার্ড ডি কেইনের বাড়িতে। সেখানে গেলে এমন অদ্ভুত গায়ে রংয়ের দুই শিশুকে দেখে বড়ই স্তম্বিত হয় রিচর্ড। পরবর্তীতে তাদের মুখে ক্লান্তির ছাপ ওষুধের কথা বুঝতে পেরে তাদের একাধিক ধরনের পঞ্চ ব্যঞ্জন দেওয়া হয়। মুখের সামনে একাধিকবার দিলেও একটিও ছুঁয়ে দেখে না তারা। কিন্তু পেটে ক্ষুদা থাকার পরেও খাবার না খাওয়ার কারণ বুঝতে পারেনা গ্রামবাসীরা। তবে খাবারের মধ্যে সিম দেখেই তার উপর হুমরি খেয়ে পরে ওই দুই শিশু। তবে সিমের বিচি থাকায় সেটা কিভাবে বের করতে হয় ওই দুই খুদের বোধগম্য হয় না।
পরবর্তীতে গ্রামের মানুষরা সিলেট থেকে কি করে ব্রিজ ছাড়াতে হয় তার শিখিয়ে দিলে পটাপট সিমের বিজ খেয়ে থাকে তারা। তবে ভাইবোনের মধ্যে কোনটি স্বাভাবিক থাকলেও গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে ভাইটি। এরপরে কিছুদিনের মধ্যেই মৃত্যু হয় তার। কিন্তু অন্যদিকে বোনটি শিমের বীজ খেয়ে তার সবুজ রঙের থেকে আর পাঁচজনের মতো গায়ের রং ফিরে আসে। এবং বর্তমানে সে একজন সাধারণ মানুষের মতো জীবন যাপন করছে। পাশাপাশি শিক্ষা লাভ করে ইংলিশে যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করেছে। এরপরই কতটি ইংলিশে কথা বলতে শিখলে তারা তাদের টিভিতে আগমনের মূল কারণটি দীর্ঘ কয়েক বছর পর বর্ণনা করতে সক্ষম হয়। মিটি জানায় তারা যে দেশে থাকত সেখানে সূর্য বলে কিছু ছিল না অথচ ২৪ ঘন্টায় থাকতো আলো। এমনকি তারা কোন খাবার খেতো না শুধুমাত্র শিমের বীজ ছাড়া। তবে কোন এক মিষ্টি শব্দের টানে তারা এক অদ্ভুত পথের মাদ্ধমে পৃথিবীতে এসে পরে।
পরবর্তীতে সবুজরঙা ভাই বোনকে নিয়ে অনেক বিতর্ক মন্তব্যের পাশাপাশি বই লেখা হয়েছে।কগস্টেলের র্যালফ আর নিউব্রিজের উইলিয়াম নামের দুজন লেখক সবুজ রঙা শিশুদের কথা লিখেছেন। তবে বহু লেখালেখি বা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বিচার-বিশ্লেষণ করলেও আজও রয়ে গিয়েছে তাদের আসল গ্রহের পথ।