জনি লিভার আসল নাম জানা আছে?
সারাদিনে কাজের এতো চাপের মধ্যে যখনই হাসির খোরাকের দরকার হয় তখনই মন চাইলেই চোখ রাখা যায় ‘দ্য কপিল শর্মা শো’ অথবা কমেডিয়ান কোনো মুভিতে। হিন্দি সিনেমার এমনই একজন বিখ্যাত কমেডিয়ান অ্যাক্টর হলেন “johny lever“।
তার নিখুঁত হাসির অভিনয় অনেকের পেটেই খিল ধরিয়েছে। ‘দিওয়ানা মস্তানা’ (1997) এবং ‘দুলহে রাজা’ (1998),, ’36 চায়না টাউন’, ‘দে দনা দন’ ‘দিওয়ানা হুয়ে পাগল’ মানুষটার অভিনয়ে দর্শক মুগ্ধ। অন্যকে হাসানো এই মানুষটার জীবনে কিন্তু দুঃখের শেষ ছিল না।
জীবনের এতোটা বছর হিন্দি ইন্ডাস্ট্রিতে সফল কমেডিয়ান হিসাবে অভিনয় করলেও তার প্রথম জীবন ছিল বেশ কষ্টের। তেলেগু ক্রিশ্চিয়ান পরিবারে জন্ম গ্রহন করলেও হিন্দি, ইংরেজি ও তেলেগু এই তিনটে ভাষাতে সাবলীল এই অভিনেতা, মহারাষ্ট্রের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিন বোন আর দুই ভাই এর মধ্যে ‘জনি’ সব থেকে বড়ো । জনির বাবা কাজ করতেন ‘Hindustan liver ltd’ আর মা চাকরি করতেন ‘kanigiri prakasam’ এ।।
যদিও মা বাবা প্রথমে নাম রেখেছিলেন জন রাও। মুম্বই এর ‘ধারাভি’ এর এক লোকাল স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন এই অভিনেতা। যদিও স্কুল জীবন তার আর সম্পূর্ন হয়নি। পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়াতে মাত্র ক্লাস সেভেন পর্যন্ত পরে তাকে পড়াশোনাতে ইতি টানতে হয়, পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করতে এরপর টাকা রোজগার করার জন্য মুম্বইয়ের রাস্তায় পেন বিক্রি করতে হতো এই প্রতিভাবান অভিনেতাকে, তারপর হিন্দি সিনেমার অনেক গানে নেচেও অর্থ রোজগার করতে হয়েছে এই অভিনেতাকে। এতো কিছুর মধ্যেও ইয়াকুটপুরা (হায়দ্রাবাদের ছোট্ট শহর) তে গিয়ে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এই অভিনেতা।
বাবার কোম্পানির ফাংশানে জনির হাসির অভিনয় দেখে অফিসের কর্মচারী রাই ভালোবেসে জন রাও থেকে ‘জনি লিভার’ নাম দেয়। পরে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এসে ওই নামটাই রেখে দেন তিনি। তার অভিনয় প্রতিভা দেখে তাকে প্রথম ছবিতে সুযোগ দেন সুনীল দত্ত, তাঁর ‘দার্দ কি রিস্তা’ ছবিতে।