নিরিবিলি থাকতে যাবেন নাকি বেড়াতে হিমাচল প্রদেশ?
নিউজ ডেস্ক – পর্যটক প্রেমীরা প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে বহু জায়গায় ছুটে যান। কিন্তু শীতের মরশুমে পার্বত্য অঞ্চলে শহরের কোলাহল থেকে নিবৃত্তি শান্ত জায়গা পেতে সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান হিমাচল প্রদেশের একটি ছোট্ট হিলস্টেশন মাশোর্বা। এখানে পরিবারের সদস্য কিংবা হানিমুনের জন্য অনেক গিয়ে থাকেন। সিমলা থেকে মাত্র ১১ সিমি দূরত্বে অবস্থিত হিমাচল প্রদেশের এই ছোট্ট হিল স্টেশনটি।
পার্বত্য অঞ্চলের ২২৪৬ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত চট্টগ্রাম কি অফার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। এখানে ওক, পাইল, রডোডেনড্রন জঙ্গলের সম্পূর্ণ ঘেরা এই গ্রামটি। হিল স্টেশন থেকে হিমালয়ের রোমাঞ্চকর নৈসর্গিক প্রাকৃতিক ও পাহাড়ি দৃশ্য চাক্ষুষ করা যায়। বিশেষ করে বসন্তকালে পাহাড়ের প্রকৃতি মনমুগ্ধকর হয়ে ওঠে। এখানে অপারগ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে রয়েছে রাজধানী নিজস্ব সৌন্দর্যতা। ১৮৫০ সালে লর্ড ডালহৌসির তৈরি রাস্তা দিয়ে হিমাচলে পাড়ি দিলে চাক্ষুষ হবে ব্রিটিশ ইন্ডিয়া পুরনো সেই নিদর্শন। পার্বত্য সৌন্দর্যের সঙ্গে এখানে রয়েছে বেশকিছু ঘন জঙ্গল। পাহাড়ের ঘন জঙ্গলের কোল থেকে উঁকি দিয় বিভিন্ন বন্য জন্তু। যেমন — পাহাড়ি বন্য ও শিয়াল, হিমালায়ান ঈগল, বেবুন, ভাল্লুক প্রভৃতি। এছাড়াও যারা অ্যাভেঞ্জার প্রেমী তাদের জন্য এই হিল স্টেশন একদম উপযুক্ত। কারণ এখানে স্কিইং, ট্রেকিং, প্যারাগ্লাইডিংয়ের মতো নানান রোমাঞ্চের স্বাদ নেওয়া যায়। এখানে দর্শনীয় অন্যতম স্থান রয়েছে। যেমন শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির, দেবতা দুম মন্দির ও ব্রিটিশ আমলের মাশোর্বা চার্চ।
হিমাচল প্রদেশের আকর্ষণে হিল স্টেশনে যাওয়া যায় প্রথমে ট্রেন থেকে কালকা স্টেশন যেতে হবে। এরপর সেখান থেকে প্রাইভেট গাড়ির ট্যাক্সি করে হিল স্টেশনে পৌঁছালো যায়। আবার যদি কেউ আকাশ পথে যেতে চায় সেক্ষেত্রে চন্ডিগড় বিমান থেকে কালকা পৌছিয়ে এখান থেকে ট্যাক্সি করে খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় মাশোর্বায়। এখানে থাকার কোনো অসুবিধা হয় না পর্যটকদের। কারণ এখানে বিলাসবহুল থেকে শুরু করে সাধ্যের মধ্যে হোটেল পাওয়া যায়। এই হোটেলগুলি আবার হিল ভিউ, হিল টপেও থাকে। সেই ক্ষেত্রে পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য আরও কাছ থেকে উপভোগ করা যায়। কিন্তু ভ্রমণে যাওয়ার আগে হোটেল বুক করে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।