অফবিট

পিতার পরিবর্তে মায়ের বংশ কে পূর্বপুরুষ মনে করে। নাউরু দেশ সম্পর্কে অবাক করা কিছু তথ্য

নিউজ ডেস্ক- প্রশান্ত মহাসাগরের সবথেকে ধনী দেশের নাম জানেন? বা কোন দেশের কোনও নিজস্ব মুদ্রা নেই? নাউরু দেশ দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের মাইক্রোনেশিয়া অঞ্চলের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্র। নাউরু বিশ্বের তৃতীয়  ক্ষুদ্রতম রাস্ট্র। দেশটির মোট ক্ষেত্রফল 21 বর্গ কিলোমিটার। 2020 জনগণনা অনুযায়ী দেশটির মোট জনসংখ্যা মাত্র 10,824।

নাউরু দেশ সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য হল

1.একসময় নাউরু দেশ ছিল প্রশান্ত মহাসাগরের সবচেয়ে ধনী দেশ। প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত এই দ্বীপটিতে ছিল নানা প্রজাতির পাখি আশ্রয় স্থল এই সকল পাখিদের ফেলে যাওয়া বজ্র পদার্থ ধীরে ধীরে জমে বরফে পরিণত হয়। এই ফসফেটের টিলা পরবর্তীকালে নাউরু দেশের অর্থের খনিতে পরিণত হয়।

2. ফসফেট সাধারণত কৃষি কাজে ব্যবহার করা হয়। নাউরু তে পাওয়া যাওয়া ফসফেটের উৎকর্ষতা মান ছিলো অন্যান্য সকল দেশ থেকে অনেক ভালো।

3. নাউরু দেশে এত বেশি পরিমাণে ফসফেট পাওয়ার জন্য এখানকার মানুষেরা একসময় ছিল অনেক ধনী। দেশটি অত্যাধিক পরিমাণে ধনি হওয়ায় নাউরু কতৃপক্ষ নানানভাবে এই সকল পয়সা খরচ শুরু করে। তারা নিজস্ব দেশে খাবার উৎপাদন ছেড়ে পশ্চিমা দেশগুলো থেকে আমদানি শুরু করে। কিন্তু দুর্নীতি ও ব্যবস্থাপনা ও অবাস্তব পরিকল্পনার জন্য দেশটি ধীরে ধীরে গরীব হতে শুরু করে।

4. অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনারত ও রাষ্ট্রীয় টাকায় এই দেশের মানুষদের ভিন্ন দেশে ভ্রমণ বিলাসবহুল বাড়ি বানানোর জন্য ধীরে ধীরে রাষ্ট্রীয় কোষাগার শেষ হতে থাকে। এমনকি ফসফেট রপ্তানি ও ধীরে ধীরে কম হয়ে গিয়ে দেশটি বর্তমানে একটি গরিব দেশে পরিণত হয়েছে।

5. এই দেশের নিজস্ব কোন মুদ্রা নেই। এই দেশে অস্ট্রেলিয়ান মুদ্রা ব্যবহার  হয়।

6. এই দেশে কোন সৈন্যবাহিনী নেই এই দেশটি অস্ট্রেলিয়ার উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। তবে দেশটিতে পুলিশ বাহিনী রয়েছে।

7. এই দেশটিতে পানীয় জলের অভাব। এখানকার মানুষেরা পানীয় জন্য শুধুমাত্র বৃষ্টির জল ও কয়েকটি জল শোধনাগার এর ওপর নির্ভরশীল।

8. নাউরু দেশের মানুষেরা পিতার পরিবর্তে মায়ের বংশ কে পূর্বপুরুষ মনে করে।

9. নাউরু দেশ এর দুটি ভাষা হল ইংলিশ ও নাউরুয়ান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *