শারীরিক চাহিদা মিটে গেলে ছুড়ে ফেলে দেয় রাজারা
নিউজ ডেস্ক – রাজা রাজার আমলে একটি রাজার শতাধিক রানী থাকা কোন অবিশ্বাস্যকর ব্যাপার। রাজাদের মূলত রানীর প্রয়োজন পড়তো শারীরিক মিলন করার সময়। অর্থাৎ শরীরের ক্ষুধা মিটে গেলেই রানীরা অপ্রয়োজনী হয়ে পড়ত। তবে এত রানী পাবি কোথায় রাজা! সে ক্ষেত্রে গোটা রাজ্যে যে সকল রমণীরা সুন্দরী ছিল তাদের বাড়িতে মেয়েকে রানী বানিয়ে রাখার স্বপ্ন দেখি রাজ কুঠিতে নিয়ে আসা হতো। এরপরই রাজারা নিজেদের শারীরিক চাহিদা মেটানোর পর মেয়েদের ছুড়ে ফেলে দিত। যার কারণে নিস্পাপ মেয়েদের রানী হওয়ার স্বাদ অধরাই থেকে যেত। শুধুমাত্র রাজা নয় গোটা সমাজ তাকে অচ্ছুত বলে ঘোষণা করতো। এমনি দৃশ্য দেখা যেত চীন মায়ানমারের আদিবাসীরা।
সেখানে মেয়েদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত নির্মম অত্যাচার করত রাজা। এই অত্যাচারিত রাজার হাত থেকে নিজেদের মেয়েদের বাঁচানোর জন্য ট্যাটুর পথ বেছে নিয়েছিল সেখানকার আদিবাসী গোষ্ঠীর। তারা মূলত গাছের রস, ষাঁড়ের পিত্ত ও অ্যানিমাল ফ্যাট দিয়ে প্রস্তুত করা হত সেই রং। এরপরই গাছের কাঁটা দিয়ে সেই রঙ্গের সাহায্যে মেয়েদের মুখে ধীরে ধীরে সবুজ,কালো রং দিয়ে ট্যাটু খচিত করে দিত। যার কারনে মেয়েদের সৌন্দর্য লুপ্ত হাওয়াই রাজার দৃষ্টি আকর্ষণ হতো না মেয়েদের উপর। পরবর্তীকালে প্রাচীন যুগ থেকে চলে আসা প্রথা বর্তমান যুগে অনেক চীনাবাসীরা মেনে চলত। কিন্তু ১৯৬০ সালে সরকারের পক্ষ থেকে ট্যাটুর প্রথাটি বন্ধ করে দেওয়ার আইন ঘোষণা করলেন সম্প্রতি সেই প্রাচীন প্রথা অবলুপ্তির দিকে এগিয়েছে। যার কারণে সেরকম যুগ না থাকায় এই ট্যাটু ব্যবহার করে না কেউ।