হারানো আটলান্টিস বর্তমানে পৃথিবীর কোন দেশের সমুদ্রের নীচে রয়েছে জানেন?
নিউজ ডেস্কঃ জলের তলায় হারানো শহর, তাও কিনা লক্ষ বছর আগেকার! এখানেই শেষ নয়, এই গভীর সমুদ্রের নিচে পাওয়া যেতে পারে পিরামিড ! সত্যই এমন ঘটনা হজম করা যেকোনো মানুষের পক্ষে কষ্টকর। সে যতই কল্পবিলাসী হোক না কেনো। ব্যাপারটা একেবারে যেনো আস্ত পিরামিড গিলে নেয়ার মতই অসম্ভব। তাও যদি শক্ত প্রমাণ পাওয়া যেত, তাহলে হয়ত এতদিনে মানব সভ্যতার ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হত। কিন্তু যেমন রহস্যময় এই শহরের আবির্ভাব, তেমনই রহস্যময় এই খবরের সত্যতা।
হারানো আটলান্টিসের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে এই বিষয়ে গুজবও কম ছড়ায়নি। তবে ২০০১ সালে কিউবার সর্ব পশিচম উপকূলে ‘পিনার ডেল রিও’ প্রদেশে একটি অনুসন্ধানী দল কাজ করছিল। হঠাৎ তাদের সনার যন্ত্রে অদ্ভুত এক চিত্র ধরা পরে। কিছু অসামাঞ্জস্যপূর্ণ গঠনের পাথর তারা দেখতে পান সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০০০ থেকে ২৩০০ ফিট গভীরে। যদিও সনার চিত্রে সূক্ষ্ম করে কিছু বোঝা যায় না। কিন্তু অনুসন্ধানী দলটি সমুদ্রের যে অংশে কাজ করছিলো, সেখানে উঁচু-নিচু সামুদ্রিক টিলা বা পাহাড় থাকার কোন সম্ভবনা ছিল না। যন্ত্রের হিসাবে সেগুলো পাথরের স্তম্ভ অথবা সেই ধরনের কিছু।
প্রায় দুই বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এসব রহস্যময় আকৃতি দেখে দলটির মনে হতে থাকে, হয়ত এটি বহু আগে সমুদ্রে বিলিন হয়ে যাওয়া প্রাচীন কোন নগরীর ধ্বংসাবশেষ। রহস্যময় এই স্থাপনা ‘কিউবার জলের নিচের শহর’ নামে পরিচিত।
মূলত কিউবা সরকার এর পৃষ্ঠপোষকতায় এই অনুসন্ধান প্রাথমিক ভাবে চালানো হলেও, নতুন ভাবে কোন কাজ অথবা গভীর সমুদ্রের মানুষের মাধ্যমে অনুসন্ধানের কোন খবর গত ষোলো বছরেও জানা যায়নি। রহস্য নিয়ে যেমন শুরু হয়েছিল এই আবিষ্কার তেমনি রহস্যময় ভাবেই থেমে যায় এর অনুসন্ধান।