সমাজের নামে ১০-১২ বছরের মেয়েদের ধর্ষণ! কোথায় এমন করা হচ্ছে?
নিউজ ডেস্ক – সমাজের সবচেয়ে নিকৃষ্ট ও অন্ধকারতম দিক হল কোন মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করা অর্থাৎ ধর্ষণ। এই জঘন্যতম কাজ করলে সেই ব্যক্তিকে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হয় দেশের আইন অনুসারে। কিন্তু এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে ধর্ষণকে রীতি মেনে পালন করা হয়। সেখানকার কোন ব্যক্তি এই জঘন্য কাজকে অপরাধ বলে মনে করেন না। এমনই এক জঘন্য গ্রাম রয়েছে পূর্ব আফ্রিকার দেশ মালাউইয়ের দক্ষিণাঞ্চলে। এখানকার নিয়ম অনুযায়ী মেয়েরা ১০ বছর বয়সে পদার্পণ করলে ও ঋতুচক্র শুরু হলেই সেখানকার ‘হায়েনা’-দের কাছে মেয়েদের সতীত্ব যাচাই করতে ধর্ষণের জন্য পাঠানো হয়। এই কাজটি করেন স্বয়ং মেয়েদের বাবা-মা। তাহলে খোলসা করে বলতে গেলে বলা যায়।
গ্রামের রীতি অনুযায়ী “হায়েনা” নামে এক ব্যাক্তি আছে যে আসলে এক ধ’র্ষক। তার আসল নাম হল এরিক অ্যানিভা। তাকে ওই গ্রামের লোকেরা সেখানে “যৌ-ন শোধক” হিসাবে রেখেছেন। একে তার কাজের জন্য পারিশ্রমক পর্যন্ত দেওয়া হয়। কোন মেয়ে ১০ বছরে পদার্পণ করলে বা কারোর স্বামী মারা গেলে মৃতদেহ দাহ করার আগেই তার সতীর্থ পবিত্র করতেই মানুষরূপী রাক্ষসের কাছে পাঠানো হয়। আবার কোন মহিলা গর্ভপাত করার হলে সেক্ষেত্রেও হায়েনাদের কাছে পাঠানো হয়। তবে সেখানকার মেয়েরা এই সকল কর্মকরতে একদমই অনিচ্ছুক। তাদের মতে তাদের পরিবারের সদস্যরা জোর করে এই রীতি মানতে বাধ্য করে তাদের। কারণ সেখানে বলা হয় এই নিয়ম না মানলে তাদের বাবা-মা হয় অসুস্থ হয়ে পড়বেন না হলে মৃত্যু হবে। তাই নিজের পরিবারকে খাওয়ানোর ভয়ে এমন জঘন্য কাজে যুক্ত হতে বাধ্য হয় সেখানকার মেয়েরা।