ভগবান বিষ্ণুর সঙ্গে দেবাদিদেব মহাদেবের যুদ্ধ কেন হয়েছিল জানেন?
নিউজ ডেস্কঃ ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর এই তিন দেবতা নিয়ে এক ঈশ্বর এই কথাই প্রচলন আছে।তাই শিব এবং বিষ্ণু একে অপরের হৃদয়ে বিরাজমান এবং তাদের দুজনেই কাজই হল বিশ্বব্রহ্মাণ্ডতে ধর্মকে রক্ষা করে রাখে।তারা দুজন এক হওয়া সর্তেও কেন শিব বিষ্ণুর সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন? জেনে নিন যে শিব কেন বিষ্ণুর সঙ্গে যুদ্ধ করেছিল এবং এর পরিনতি কি হয়েছিল।
মাতা লক্ষ্মীর পাঁচ বোন ছিল এবং তারা শ্রী বিষ্ণুকে তাদের স্বামী হিসাবে পেতে চেয়েছিলেন।লক্ষ্মী দেবীর এই পাঁচ বোন শ্রী বিষ্ণুকে স্বামী রূপে পাওয়ার জন্যেই শুরু করেন কোঠর তপস্যা।তাদের ওই তপস্যায় তুষ্ট হয়ে শ্রী বিষ্ণু তাদের সামনে প্রকট হন এবং তাদের ইচ্ছানুযায়ী বর চাইতে বলেছিলেন।তখন মাতা লক্ষ্মী ওই পাঁচ বোন বর হিসাবে চেয়েছিলেন যে শ্রী বিষ্ণু তাদের স্বামীরূপে তাদের সাথে সব স্মৃতি ভুলে পাতাললোকে বসবাস করুক।এতে শ্রী বিষ্ণু রাজি হন।তারপর সব স্মৃতি ভুলে লক্ষ্মীদেবীর পাঁচ বোনের সাথে পাতাললোকে বসবাস শুরু করে।এই কথা শিব জানতে পেরে বিষ্ণুকে বৈকুণ্ঠ লোকে ফিরিয়ে আনার জন্যে পাতাললোকে রেশব অবতারে আক্রমণ করেছিলেন।কারন বিষ্ণুকে ছাড়া এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে রক্ষা করা অসম্ভব।তাই শিব রেশব অবতারে পাতাললোকে আক্রমণ করেছিলেন।আর এই দেখে শ্রী বিষ্ণু রেগে যান এবং শিবের এই অবতারের সাথে যুদ্ধ শুরু করেন। তারপর বিষ্ণু একে একে তার সব অস্ত্র দিয়ে শিবের এই অবতারকে প্রহার করেছিলেন এবং শিবের এই অবতার রেশব শ্রী বিষ্ণুর সব অস্ত্রই বিফল করে দিয়েছিলেন।এই যুদ্ধ চলেছিলেন দীর্ঘ সময় ধরে কিন্তু তাতে কোনো পরিনতি পাওয়া যাচ্ছিল না।কারন শিব এবং বিষ্ণু ছিলেন শক্তি আধার।এতে বিষ্ণু বেশি ক্রোধিত হয়ে গিয়েছিলেন। তখন বিষ্ণু তার নারায়ন অস্ত্রের প্রয়োগ করে এবং শিবও তখন পাশুপাত অস্ত্র প্রয়োগ করেন।এই অস্ত্রের দ্বারা শিব এবং বিষ্ণু তাদের নিজেদেরকে বেঁধে ফেলেছিলেন।তখন সিদ্ধিদাতা গনেশ লক্ষ্মী ওই পাঁচ বোনের কাছে গিয়েছিলেন এবং তাদের বলেছিলেন যে বিষ্ণুর যদি স্মৃতি ফিরে না আসে তাহলে শিব এবং বিষ্ণু তারা একে অপরের অস্ত্রে বাঁধা পড়ে থাকে আর এতে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের বিনাশ হয়ে যাবে।তখন লক্ষ্মীদেবী ওই পাচ বোন শ্রী বিষ্ণুর কাছে যান এবং তাকে তাদের বরদান থেকে মুক্ত করেন।এরপর শ্রী বিষ্ণু স্মৃতি ফিরে পেয়েছিলেন তারপর বিষ্ণু তার অস্ত্রের প্রভাব থেকে শিবকে মুক্ত করে দিয়েছিলেন তখন শিবও তার অস্ত্রের প্রভাব থেকে বিষ্ণুকে মুক্ত করেন।এরপরে মহাদেব তার আসল স্বরূপে আসেন এবং শ্রী বিষ্ণুকে নিয়ে বৈকুণ্ঠে ফিরে যান।