ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং দেবাদিদেবের মধ্যে যুদ্ধ কেন হয়েছিল?
নিউজ ডেস্কঃ বিষ্ণু এবং মহাদেবকে বলা হয় হরিহর আত্মা। সেই হরিহর আত্মা অর্থাৎ সেই বিষ্ণু আরেক অবতার শ্রীকৃষ্ণ এবং মহাদেবের মধ্যে এই যুদ্ধটি হয়েছিল।এই দুজনই ছিলেন শক্তি আধারা যার ফলে তাদের যুদ্ধে পুরো বিশ্বব্রহ্মাণ্ড বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে। কিন্তু কেন এই যুদ্ধটি হয়েছিল এবং সেই যুদ্ধেরই পরিনতি কি হয়েছিল? জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।
পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, অসুর রাজ বানাসুর শোণিতপুরের রাজত্ব করতেন।এই অসুর মহাদেবের কঠোর তপস্যা করে মহাদেবের কাছ থেকে বর হিসাবে অনেক অস্ত্র ও শক্তি এবং হাজার হাত লাভ করেন। তাছাড়াও তিনি প্রার্থনা করেন শিব পার্বতী যেন তাকে পুত্র রূপে গ্রহণ করেন।তারপর থেকেই বানাসুর তাদের পুত্র। বানাসুরের কন্যা উষা ও কৃষ্ণের নাতি অনিরুদ্ধ একজন আরেকজনকে স্বপ্নে দেখে ভালোবেসে ফেলেছিল। তখন উষার সহচরী চিত্রলেখা অনিরুদ্ধকে হরণ করে শনিতপুরে নিয়ে আসেন।এই ঘটনাটি বানাসুর জানতে পেরে অনিরুদ্ধকে বন্দি করে। অনিরুদ্ধকে বন্দী করার খবর নারদ কৃষ্ণকে জানান।তখন কৃষ্ণ ও বলরাম নারায়ণী সেনা নিয়ে শোণিতপুর আক্রমণ করে।এবং সেই যুদ্ধে যখন বানাসুর পরাজিত হয়ে পড়ে তখন বানাসুর তার পিতা মহাদেবকে স্মরণ করেন।এরপর শিব এসে উপস্থিত হন সেখানে। তারপর শুরু হয় মহাদেব এবং ভগবান কৃষ্ণের মধ্যে যুদ্ধ।যুদ্ধের সময় শিব তার শক্তি দিয়ে এক ভয়ঙ্কর অসুর বানিয়ে কৃষ্ণকে আক্রমন করেন এবং কৃষ্ণও তখন তার শক্তি দিয়ে এক অসুর সৃষ্টি করেন। অবশেষে কৃষ্ণের অসুর শিবের অসুরকে ধ্বংস করে দেয়।যার ফলে শিব ভয়ানক অস্ত্রসমূহ নিক্ষেপ করতে থাকলেন শ্রীকৃষ্ণের দিকে।কিন্তু সব অস্ত্র কে নষ্ট করে দেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।
সেই যুদ্ধে পৃথিবীর কাঁপতে লাগল। তারপর ব্রহ্মা এসে শিবকে শান্ত করলেন এবং তিনি শিবকে শ্রীকৃষ্ণের আসল রূপ স্মরণ করিয়ে দিলেন।যার ফলে শিব নিজেকে সমর্পণ করে কৈলাসে ফিরে গেলেন।তারপর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বানাসুর কে দমন করলেন এবং দুটো হাত বাধে তার বাকি হাতগুলিকে তার সুদর্শন চক্র দিয়ে কেটে ফেললেন।উল্লেখ্য যে ওই যুদ্ধে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শিবের অপর প্রহার করেননি কেবল শিবের অস্ত্র-গুলি কে নষ্ট করে দিয়েছিলেন।এছাড়াও বানাসুর কে দমন করা আবশ্যক ছিল কারণ শিবের আশীর্বাদ পেয়ে তিনি অত্যন্ত অহংকারী হয়ে পড়েছিলেন।