অফবিট

ভ্যাম্পায়ার শিশুরা মায়ের দুধ খেয়ে বড় হয়ে উঠছে। জানুন বিস্তারিত

নিউজ ডেস্ক   –   প্রাচীন গল্পকথায় ভ্যাম্পায়ারের অস্তিত্ব পাওয়া গেলেও বর্তমানে সেটি বিলুপ্ত। কিন্তু ভ্যাম্পায়ার রুপি মানুষ না হলেও বর্তমানে  ভ্যাম্পায়ার বাহাদুর অর্থাৎ রক্তচোষা বাদুরের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। এই সকল প্রাণী এমনি নিরীহ মনোভাবের হয় শুধুমাত্র নিজেদের খিদা নিবারণের জন্য অন্য প্রাণী কিংবা মানুষের রক্ত খেয়ে থাকে। এই প্রাণী সারাদিন অন্ধকার স্থানে ঘুমাতে পছন্দ করে এবং রাতে শিকারে বেরোয়।  এরকম ভ্যাম্পায়ার বাঁদরের প্রজাতি মূলত তিন প্রকারের দেখা যায়।  এদের অস্তিত্ব পাওয়া যায় শুধুমাত্র উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে।  এই বাদুরের দেহাকৃতি অন্যান্য বাদুরের  সমতুল্য হলেও  এদের নাকের আকৃতির চ্যাপ্টা হয় এবং ইউ আকৃতির কাজ থাকে।  এই বিশেষ আকৃতির নাকি একটি বিশেষ সংবেদী অঙ্গ রয়েছে যার মাধ্যমে শিকারের একদম চামড়ার কাছে কোথায় রক্তের স্রোত রয়েছে তা খুঁজে বের করতে পারে। এছাড়াও তাদের মস্তিষ্কে একটি ইনফ্রারেড রিসেপ্টর পাওয়া গিয়েছে  যা সাপের সংবেদী অঙ্গের মতো একই কাজ করে এবং অন্ধকারে শিকারের অবস্থান বুঝতে সাহায্য করে। ভ্যাম্পায়ার বাঁদর সাধারণত ঘুমন্ত প্রাণীর রক্ত খেয়ে থাকে। এরা বিশেষ করে  গরু ভেড়া জাতীয় প্রাণীদের রক্ত খায় কিন্তু সুযোগ পেলে মানুষের রক্ত খায়। এরা বিশেষত ঘুমন্ত প্রাণীর  শরীরে একটি ফুটো করে সেখান থেকে রক্ত পান করা। তবে আবার রক্ত পান করার সময় তাদের এক ধরনের লালা নিঃসরণ হয় যেটা রক্ত জমাট হতে বাধা দেয়।  যার কারণে এরা প্রায় ৩০ মিনিট পর্যন্ত একটানা রক্ত পান করার ক্ষমতা রাখে। তবে এই রক্তচোষা বাদুর পূর্বপুরুষ থেকে আবির্ভাব হয়েছে এমনটি অনুমান করে বিজ্ঞানীরা।  

তবে বিজ্ঞানীদের মতে বাদুর যে পরিমান রক্ত পান করে তাদের কোনো ক্ষতি না হলেও কামড়ের থেকে ইনফেকশন ছড়াতে পারে।  ১০০টি  বাঁদরের একটি কলোনি ২৫টি গরুর রক্ত সমান রক্ত পান করতে পারে একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে।    

ভ্যাম্পায়ার বাদুরের শিশুরা তাদের মায়ের দুধ খেয়ে বড় হয়ে ওঠে।  এছাড়াও বাদুড়ের শরীরে এক প্রকার এন্ডোজেনাস রেট্রোভাইরাসের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা থাকে। এই ভাইরাসের জেনেটিক মেটেরিয়ালের কপি হোস্টের জিনোমে ঢুকিয়ে দেয়। এছাড়াও একটা বিশেষ দিক লক্ষ্য করা গিয়েছে শুধুমাত্র ভ্যাম্পায়ার বাদুররা একমাত্র  মাটিতে হাঁটতে দৌড়াতেও চলাফেরা করতে পারে। অন্যান্য বাদুরের ক্ষেত্রে সেটা দেখা যায় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *