অফবিট

যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে পশ্চিমবঙ্গকে ভারতের প্রথমসারির রাজ্যে পরিনত করার ঘোষনা করলেন বিজেপি প্রার্থী ডঃ অনির্বান গঙ্গোপাধ্যায়

লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে প্রচারাভিযান। আঠারোতম লোকসভা নির্বাচনে দেশজুড়ে সাত দফায় ভোট গ্রহন চলছে। ইতিমধ্যেই দুই দফা নির্বাচন সম্পূর্ন হয়েছে। বাকী পঞ্চম দফা ভোটের জন্য সব দলই ব্যস্ত তাদের কর্মসূচিতে। পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি লোকসভা আসন রয়েছে যারমধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ন কেন্দ্র যাদবপুর। সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে গঠিত যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হবে একেবারে শেষ দফায় অর্থাৎ ১ জুন। তাই যাদবপুরে সব দলই প্রচারাভিযানে ব্যস্ত। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের বেশকীছু রাজ্যে রীতিমতো তাপপ্রবাহ চলছে। পশ্চিমবঙ্গে স্থান বিশেষে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তর ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে আপাতত বৃষ্টির দেখা নেই, এরকম তাপপ্রবাহ কয়েকদিন চলবে। এই তীব্র গরমও লু প্রবাহের মধ্যেও ভোট প্রচার কিন্ত থেমে নেই। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে গত তিন লোকসভা নির্বাচনে শাসক দল তৃনমূলই জিতেছে, তার আগে ২০০৪ সালে এই কেন্দ্রে সিপিআইএম জিতেছিল। কিন্তু একাধিক দূর্নীতিতে অভিযুক্ত বর্তমানে শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেস। দূর্নীতির দায়ে শাসকদলের বেশকীছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি ইতিমধ্যেই কারাবন্দী। শাসকদলের এই দূর্নীতির কারনে রাজ্যজুড়ে বিরোধী শিবির সরব হয়েছে। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসাবে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের বাকী লোকসভা কেন্দ্রগুলোর পাশাপাশি যাদবপুরেও শাসক দলের একাধিক দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রচার করছে।

যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে বঙ্গ বিজেপি মোনোনীত প্রার্থী ডঃ অনির্বান গঙ্গোপাধ্যায় শাসক দলের অত্যাচার ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারন মানুষকে সচেতন করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। একাধিক পথসভা, জনসংযোগ কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি মানুষকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছেন। গতকাল তিনি যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সোনারপুর দক্ষিন বিধানসভা কেন্দ্রের চার নাম্বার ও পাঁচ নাম্বার মন্ডলে তিনি জনসভা করেন। প্রথমে সোনারপুর দক্ষিনের চার নাম্বার মন্ডলে তিনি জনসভায় শাসকদলের একাধিক দূর্নীতির ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করেন। পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারতের অগ্রগতির কথাও তিনি প্রচার করেন। বিশেষকরে ক্রীড়াজগতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে যে সার্বিক উন্নতি হয়েছে সেটাও তিনি তুলে ধরেন। তিনি বলেন বিগত দশবছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদীর নেতৃত্বে ভারতের ক্রীড়াজগতে বিশেষকরে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ভারত যত পদক পয়েছে তার আগে পঞ্চাশ বছরেও তত পদক পায়নি। তিনি আরও জানান কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রীড়া মন্ত্রক ভারতের পিছিয়ে পড়া অঞ্চল থেকেও প্রতিভাবান তরুন খেলোয়াড়দের নির্বাচন করে তাদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষন দিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক একাধিক প্রতিযোগিতায় পাঠিয়েছে। তিনি এটাও বলেন একটা সময় ভারত অলিম্পিকে অংশগ্রহন করতো কিন্তু তেমন পদক জিততে পারতোনা কিন্তু বিগত দশ বছরে অলিম্পিকে ভারতীয় খেলোয়াড়রা রাশিয়া, চীন, আমেরিকা, ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের পরাজিত করে পদক জিতে ভারতের নাম উজ্জব হয়েছে, এই সমস্ত কীছুই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ মোদীর নেতৃত্বে ভারত সরকারের সঠিক ক্রীড়া নীতির কারনে। ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারত সরকারের অবদানের কথা জানানোর পাশাপাশি জনসভা থেকে ডঃ অনির্বান গঙ্গোপাধ্যায় মানুষজনকে এটাও মনে করিয়ে দেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। তিনি সাধারন মানুষের জন্য জলপ্রকল্প, রাস্তা নির্মানের পাশাপাশি ৮০ কোটি প্রান্তিক মানুষকে খাদ্যশস্য সরবরাহ করছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে চন্দ্র অভিযানের মতো সাফল্য এবং ভারতের বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে ওঠার কথাও তিনি মানুষকে স্মরন করিয়ে দেন। পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে আগামী দিনে ভারত তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে এবং সত্তর বছরের উর্ধে সকল প্রবীন নাগরিকদের স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনা হবে।

এরপর সোনারপুর দক্ষিনের পাঁচ নম্বর মন্ডলে গিয়েও ডঃ অনির্বান গঙ্গোপাধ্যায় একটি পথসভা করেন। এই সভা থেকে শাসক দলকে তুলোধনা করে ডঃ গঙ্গোপাধ্যায় জানান বিগত পনেরো বছরে যাদবপুর কেন্দ্রে কোনও বড় প্রকল্প হয়নি। এখানকার সাংসদরা অতীতে সংসদে গিয়ে যাদবপুর কেন্দ্র সম্পর্কে তেমনভাবে উপস্থাপনই করেনি। তিনি বলেছেন করোনা মহামারীর সময়েও যাদবপুর কেন্দ্রে সাধারন মানুষের পাশে কেউ থাকনি। এই সভা থেকে ডঃ গঙ্গোপাধ্যায় ঘোষনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দলমত নির্বিশেষে ১৪০ কোটির ভারতবাসির উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন এবং তিনি তার সৈনিক। এইজন্য তিনি যাদবপুর কেন্দ্রে সাধারন মানুষের কাছে আর্জি জানিয়েছেন যাদবপুর কেন্দ্রে একবার বিজেপিকে সুযোগ দেবার জন্য যাতে পশ্চিমবঙ্গকে ভারতের প্রথম সারির রাজ্যে পরিনত করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *